নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপে মনোনীত হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপসচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান এবং নবায়ন ক্যাটাগরিতে শাবির মোট ৫৭ শিক্ষার্থী এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।
এর মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপের জন্য ১ হাজার ১২৪ জনের মধ্যে ৩০ জন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন- জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (জিইই) বিভাগের নশিন নায়লা, আফরীন খন্দকার, পুর্বিতা সাহা কথা, জরিন ফেরদৌস যাকিয়া, আসিফ বিন আলম সিয়াম, এস কে তৌফিকুল ইসলাম, উৎস সৌম্য তালুকদার, সাত্ত্বিক সন্দিপন অরিত্র, মো. সাদমান আলম, রসায়ন বিভাগের (সিএইচই) মো. নুরনবী ইসলাম, রাশেদ মাহমুদ, মো. শফিকুল আলম, নুরসাত নুর হেপি, আবু সালেহ্, তাহামিদা আলম ঐশী, রিয়াজুল হাসান রিয়ান, মো. গোলাম জাকারিয়া, নাজনীন আক্তার রুনা, মোহাম্মদ জায়েদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খাইরুম হক অর্থি, প্রিয়া মুহাম্মদ জান্নাতুল হুদা, আবদুল্লা আর রাফি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের আমিরুল ইসলাম সাদ্দাম, জয়ন্ত মন্ডল, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. সাদাকিন ইসলাম, সৈয়দ তৌকির আহমদ নুর, মো. রাশেদ বাবু, মো. বুরহান উদ্দিন, গণিত বিভাগের নাসরীন আক্তার তানিয়া, সিভিল অ্যান্ড এনভারনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের প্রিয়াংকা সাহা।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৮৯০ জনের মধ্যে ১২ জন আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনীত হয়েছেন। তারা হলেন- বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের আতিয়া তাহিরা তাসনীম, আব্দুল্লাহ্ আল মারজান, ফাইরুজ সামিহা, আকাশ সাহা, শাহিদা ফেরদৌসী, রাতুল চক্রবর্তী এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের জেবা ফাইজাহ্ রহমান, দিদার হোসাইন, মো. মুহিবুর রহমান, জেব-উন-নিশা কনা, দারিমি হাসিন, অরিন্দম সাহা অমিত।
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৩৮১ জনের মধ্যে ১৫ জন মনোনীত হয়েছেন। তারা হলেন- ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের (এফইএস) মো. আব্দুর রহমান, মো. আহসান হাবীব আদর, এ কে এম ফায়সাল, আদেল মাহমুদ জাদ্দারী, ইছরাত জাহান, সুনিম সোহানা, ওয়াহিদুর রহমান, মাহজাবিন মৌ, মাইমুনা মুস্তারী বনি, মনওয়ার হোসাইন, পবিত্র সিংহ সাগর, মো. জাকারিয়া ফরাজী এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি (এফইটি) টেকনোলজি বিভাগের মো. আমজাদ পাটোয়ারি, ফারজানা ইয়াসমিন, ইমন দাস। তবে এ বছর নবায়ন ক্যাটাগরিতে শাবির কোনো শিক্ষার্থী মনোনীত হননি।
ফেলোশিপে এমএস ক্যাটাগরিতে প্রত্যেকে ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল (১ম বর্ষ) ক্যাটাগরিতে ৬৮ হাজার ৪০০ ও এমফিল (২য় বর্ষ) ক্যাটাগরিতে ৯৯ হাজার টাকা এবং পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেলোশিপ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির বহিঃপ্রকাশ পাচ্ছে। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য গর্বের।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে ক্যাটাগরি-১ (ভৌত বিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-২ (জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-৩ তে (খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান) এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে।
Posted ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin