পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনন্দ র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ‘জ্যোতির্ময় জনক’ এ এসে শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন ‘জ্যোতির্ময় জনক’ এ বঙ্গবন্ধু ও সব শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানন। পরে এক এক করে বিভিন্ন বিভাগ, দফতর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন হ্যামিলওয়ানের বাঁশিওয়ালার মত। তার ডাকে সারা দিয়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরেছেন যেটা আমাদের জন্য আনন্দের দিন ছিল। সেই কারণে আজও আমরা দিনটিকে আনন্দের সঙ্গেই পালন করি।

এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধশালী দেশ চেয়েছেন। আজ আমাদেরকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাই আমাদের প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করে তার ফলাফল সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন। আলোচনা শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে ‘জ্যোতির্ময় জনক’ এ শেষ হয়।

এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ সব শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।