
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ: | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
“অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা-;
কে রোধে তাহার বজ্র কণ্ঠ বাণী?”
বঙ্গবন্ধুর জন্য বাঙালি জাতির প্রতীক্ষা শাশ্বত ও চিরন্তন। বাঙালি জাতির জীবনের চেয়েও বড় এক জীবন্ত আদর্শের নাম বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ফিরে আসে আমাদের মাঝে বারবার। তার সোনার বাংলা আমাদের অন্ধকার রাতে হাজার তারার আলোর পথ দেখায়। তার দৃপ্তকণ্ঠ আর বজ্রবাণী আমাদের মোহিত করে রাখে এখনও, রক্তকণিকায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিহরণ তোলে। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে তার শব্দমালা হিমালয়-সম এক কবির অমর কাব্যগাথা হয়ে আছে। ফিদেল কাস্ত্রো তাই অকুণ্ঠচিত্তে বলেছেন, “আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।”
রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবনই ছিলেন এক সফল নেতা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ, সবখানেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন এবং আছেন এক অনবদ্য প্রতিভাময়ী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে। নৈপুণ্যমিশ্রিত বাগ্মীতার জন্য মানব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলেছিলেন, “আমার একটি স্বপ্ন আছে”। আর বাঙালি জাতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বপ্নপুরুষই হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। ধানসিঁড়ি নদীর তীরে শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে নয়, কার্তিকের নবান্নে ভোরের কাক হয়ে নয়, লাল পায়ে কিশোরীর ঘুঙুর পরা হাঁস হয়ে নয়, কাঁঠাল ছায়ায় কুয়াশা হয়ে নয় কিংবা কলমীর গন্ধভরা জলে ভাসমান হয়ে নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বিশ্ব বিজয়ী আপসহীন নেতা হিসেবে- “বাংলার নদী-মাঠ-ক্ষেত ভালোবেসে, জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলার এই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়”।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু নিজেই তার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন, অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিকাল পাঁচটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস। জননন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে সেদিন তার ঐতিহাসিক বক্তৃতায় বলেন, “যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারব কি-না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।”
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা রেসকোর্স ময়দানে সেদিন প্রায় ১৭ মিনিট জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যা ছিল জাতির জন্য দিক নির্দেশনামূলক। বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী হবে, রাষ্ট্র কাঠামো কী ধরনের হবে, পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি ও সহযোগিতা করেছে তাদের কী হবে, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ, মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ, কৃষক, শ্রমিকদের কাজ কী হবে- এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্দেশনা রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণে।
তবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ঐতিহাসিক ভাষণের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে সব সময়
বঙ্গবন্ধুর আত্মপরিচয়
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। নেতাকে আমরা বিনয়ন করি আমাদের চিন্তা চেতনায়, ধারণ করি আমাদের নিজস্ব ভাবনায়। কিন্তু এটাও জরুরি যে নেতা নিজেকে কীভাবে ভাবেন বা কীভাবে প্রকাশিত করতে চান, সেটা অনুধাবন করতে পারা। বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে আমরা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আত্মপরিচয়ের রূপরেখা তাঁরই কণ্ঠে বর্ণিত হতে দেখতে পাই। সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারের স্মৃতিচারণ করার সময় বলেন,
“আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুই বার মরে না। আমি বলেছিলাম আমার মৃত্যু আসে যদি, আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙ্গালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’’
বাঙালি জাতীয়তাবাদের নেতা হিসেবেই বঙ্গবন্ধু নিজেকে পরিচিত করে তুলতে চেয়েছিলেন সবসময়। “জয় বাংলা”, “স্বাধীন বাংলা”, “বাঙ্গালি আমার জাতি”, “বাংলা আমার ভাষা”, “বাংলার মাটি আমার স্থান”- এর বাইরে বঙ্গবন্ধু নিজেকে নিয়ে আর কিছুই ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে আমরা কিন্তু এ বঙ্গবন্ধুকেই খুঁজে পাই। বাঙালিত্বকে বঙ্গবন্ধু মনুষত্বের ওপর স্থান দিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী নেতার তো এমনটিই হওয়ার কথা। আবার অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু মনুষত্বকে স্থান দিয়েছেন তার ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর। কিন্তু কোনো পরিচয়কেই বঙ্গবন্ধু পরিহার করেননি। এখানে আমরা আবিষ্কার করি বঙ্গবন্ধুর আত্মপরিচয়, তার নিজেরই ভাষায়- “বাঙ্গালী মানুষ” যিনি একজন মুসলমানও বটে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো বায়বীয় ভাবনা নয়। একটি মুক্তিযুদ্ধ মানে হাজার বছরের অজস্র অলিখিত স্বপ্ন পূরণের অপার সম্ভাবনা। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শব্দ ঝংকারে আবদ্ধ করা এত সহজ ব্যাপার নয়। তাহলে কীভাবে সম্ভব আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে মন ও মননে নির্দিষ্টভাবে ধারণ করা? এই কাজটি বাঙালি জাতির জন্য সহজ করে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা পাই আমরা বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে। বাঙালি জাতির প্রতি অবিচল আস্থা ছিল তার। সেই সাথে, স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে সেদিন বলেছিলেন,
“এই বাংলাদেশে হবে সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা, এই বাংলাদেশে হবে গণতন্ত্র, এই বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।” বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সেদিনের ভাষণে জনগণকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমি দেখায় দেবার চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।”
আর তাই আমাদের ১৯৭২ সালের আদি সংবিধানের স্তম্ভসমূহ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম চার নীতি (বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা) আমরা সেদিনের ভাষণেই সুস্পষ্টভাবে খুঁজে পাই। আর এ কারণেই আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক মুক্তি ও দেশ উন্নয়ন
বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের আহ্বান জানান জনগণকে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদাররা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তাতে পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য সকলকে নিয়ে দেশ গঠনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। একতাবদ্ধ থাকতে বলেন সকলকে। বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন,
“যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে। আপনারা জানেন, আমি সমস্ত জনগণকে চাই, যেখানে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, নিজেরা রাস্তা করতে শুরু করে (দাও)। আমি চাই জমিতে যাও, ধান বোনাও, কর্মচারীদের বলে দেবার চাই, একজন ঘুষ খাবেন না, আমি ক্ষমা করব না।”
বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সেদিন তিনি বলেন, “এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি আমার বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না। যদি এ দেশের মা-বোনেরা ইজ্জত ও কাপড় না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণতা হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।”
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির মাঝেই স্বাধীনতার আস্বাদ খুঁজেছেন। উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তিনি পথচলার নির্দেশনা দিয়েছেন “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে। অন্ন-বস্ত্র-কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে সেদিন দেশ গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আইনের শাসন
যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী ভূমিকা পালন করার ফলে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর প্রতিহিংসা-পরায়ণ হয়ে অনেক সহিংস ঘটনা ঘটে। বাঙালি জাতি এখনও মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী শক্তিকে বাংলাদেশে মেনে নিতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তান-প্রীতি এখনও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রক্তক্ষরণ ঘটায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন,
“আজ আমার কারো বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নাই, একটা মানুষকে তোমরা কিছু বলো না, অন্যায় যে করেছে তাকে সাজা দেবো। আইনশৃঙ্খলা তোমাদের হাতে নিও না।”এই যে আইনের শাসনের প্রতি অবিচল আস্থা, তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চরম আবোপ্লুত সময়েও তাকে এক বিন্দু বিচলিত করতে পারেনি। ন্যায়বান নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণে আমরা এমনই এক ন্যায়পরায়ণ এবং নীতিবান নেতাকে খুঁজে পাই।
আগেই বলেছি, বঙ্গবন্ধুর “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-এর ঐতিহাসিক ভাষণের উপরিল্লিখিত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে নিঃসন্দেহে। তবে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণের সব চাইতে মনোমুগ্ধকর বাণী ছিল- “আমি আমরা হার মানবো না, আমরা হার মানতে জানি না”। সেদিনই আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হার না মানা আলোর পথযাত্রী হয়েছি। লক্ষ কোটি তারার আলোয় আলোকিত হয়েছি।
[আইনিভাবে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য এক নাম ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আইন বিষয়ে দেশে-বিদেশে তার অসংখ্য বই এবং প্রবন্ধ প্রকাশনা রয়েছে।]
Posted ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin