নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
খাদ্যের মূল্য ও আনুষঙ্গিক উপকরণের লাগামহীন দাম বাড়ার পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটে বিপাকে পড়েছেন নরসিংদীর পোলট্রি খামারিরা। এতে অনেকেই গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা। সমস্যা থেকে বাঁচতে খাদ্য আমদানিনির্ভর না হওয়ার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা গ্রামে চার উদ্যোক্তা মিলে ২০১৯ সালে শুরু করেন পোলট্রি ব্যবসা। বিনিয়োগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হওয়ার আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে দামে বেড়েছে মুরগির খাদ্যের। এতে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত এক মাসে প্রকারভেদে খাদ্যের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ, মজুরি খরচ বাড়ায় খামারিদের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। সেই সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মুরগি বিক্রি করার সময় খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে বলে দাবি তাদের।
তারা বলছেন, ব্যবসা শুরু করার সময় মুরগির খাবারের দাম ছিল ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা। তবে সেই বস্তা এখন কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তবে মুরগি বিক্রিতে লাভবান না হতে পারলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
খাবারের দামের চেয়ে মুরগির দাম কম জানিয়ে খামারিরা বলছেন, শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি ব্যাচে ১০ হাজার মুরগি পালতে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে বিক্রয়ে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তারা। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
এদিকে পোলট্রি খামারিদের বাঁচিয়ে রাখতে খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমদানিনির্ভর না হওয়ার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
স্থানীয় খাদ্য উপাদানগুলোর মিশ্রণে খামারিদের খাবার তৈরির পরামর্শ দেন নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান। এর ফলে তাদের উচ্চমূল্যে খাবার সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলার ছয় উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে পোলট্রি মুরগির খামার আছে প্রায় ৭ হাজার ৩০০। এখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
Posted ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin