নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, চলতি মাসের ২৫/৩০ তারিখের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, হজ প্যাকেজ বাড়াতে চায় না বাংলাদেশ, গত বছরেরটাই রাখতে চায়। তবে রিয়াল বা ডলার বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য কিছুটা বাড়তে পারে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সৌদিআরব-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি-২০২৩ পরবর্তী বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৮ জুন (৯ জিলহজ্ব, ১৪৪৪) তারিখ পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজে যাওয়ার সব ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরব-বাংলাদেশ হজ চুক্তি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ চুক্তিতে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়া এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, হজচুক্তি-২০২৩ অনুযায়ী করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। এ বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যাবেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজে যাবেন।
‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০শতাংশ এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবেন। এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ৬৫ ঊর্ধ্ব হজযাত্রীরা এ বছর হজে যেতে পারবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোড-টু-মক্কা ইনিশিয়েটিভ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ হতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে হজে গমনকারী সকল হজযাত্রীর প্রি-এরাইভেল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। তবে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হলে হজযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশ বা ৮৯ হাজার ৩৮ জন হজযাত্রী জেদ্দা বিমান বন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন এবং ৩০ শতাংশ বা ৩৮ হাজার ১৬০ জন হজযাত্রী মদিনা বিমানবন্দর হয়ে আসা-যাওয়া করবেন।
Posted ১:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin