নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
একটি প্রজন্ম থার্টি ফাইভ মিলিমিটার ফিল্ম দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ফিল্মের মতো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন তারাও। এমন কিছু বিষয় নিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন আশিক মোস্তফা।
সিনেমাটির নাম থার্টি ফাইভ; বাংলাদেশের সেলুলয়েড সিনেমার পুরনো আবেগ আর নস্টালজিয়া খুঁজে বেড়ানো এক সৃজনশীল নতুন ধাঁচের চলচ্চিত্র এটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটা বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থান-পতনের ইতিহাসের সারমর্মের প্রতিচ্ছবি।
৩৫ মিলিমিটার যুগের সেই সময়ের চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) কেমন ছিল, কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হতো- মাহফুজুর রহমানের বয়ানে তা তুলে ধরা হয়েছে এ সিনেমায়। ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর তিনবছর পর দর্শকের সামনে আসছে চলচ্চিত্রটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর চিত্রগ্রহণে নাম লেখান মাহফুজুর রহমান খান এবং দেশের অন্যতম চিত্রগ্রাহক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। চিত্রগ্রহণ শেখার উদ্দেশে তিনি জহির রায়হানের লেট দেয়ার বি লাইট সিনেমার সেটে যেতেন। এ ছাড়া রফিকুল বারী চৌধুরী ও আবদুল লতিফ বাচ্চুর কাছ থেকে চিত্রগ্রহণের বিভিন্ন বিষয় শিখেছেন।
আশিক মোস্তফা নির্মিত চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মারা যান মাহফুজুর রহমান। সিনেমায় একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা।
থার্টি ফাইভ এর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার হবে একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ১৫ জানুয়ারি রোববার বিকেল পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে হবে সিনেমাটির প্রদর্শনী।
গত ডিসেম্বর মাসে ইরানের সিনেমা-ভেরিটে চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।
থার্টি ফাইভ চলচ্চিত্রের পরিচালক আশিক মোস্তফা একজন স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এবং লেখক। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে।
২০০২ সালে ১৬ মিলিমিটারে নির্মাণ করেন ফুলকুমার। ‘কাল্ট ক্ল্যাসিক’ হিসেবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখন অসংখ্য নবীন নির্মাতাদের অণুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
Posted ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin