পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কয়েক দিন থেকে তীব্র ঠাণ্ডা পড়েছে। অনেক অঞ্চলেই তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ নেমে গেছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। তাঁরা বলছেন, সম্প্রতি আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাপানের দক্ষিণ কুমামোতো এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এ ছাড়া ভারি তুষারপাত ও ক্ষীণ দৃশ্যমানতার কারণে দুদিনে বাতিল করা হয়েছে দুই শর বেশি ফ্লাইট। বন্ধ রাখা হয়েছে দ্রুতগামী বেশ কিছু ট্রেনও। জাপানে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার ঘটনা এটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এরই মধ্যে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। আবহাওয়া অফিসের মুখপাত্র উ জিন-কিউ সিএনএনকে জানিয়েছেন, ‘উত্তর মেরু থেকে সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস এসে আঘাত করছে।’ বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক শ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যাত্রীবাহী জাহাজগুলোও বন্দর ছেড়ে যেতে পারেনি।
প্রায় একই অবস্থা উত্তর কোরিয়াতেও। সেখানেও চরম আবহাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনের উত্তরের শহর মোহেতে গত রবিবার মাইনাস ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সিউলের হানইয়াং ইউনিভার্সিটির জলবায়ু বিষয়ক অধ্যাপক ইয়ে সাং-উক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই অঞ্চল আরো বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
মার্কিন আবহাওয়া গবেষণা সংস্থার কর্মকর্তা কেভিন ট্রেনবার্থ জানিয়েছেন, চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো এখন ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ হয়ে উঠেছে। সামনে আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে আরো বেশি খারাপ হতে চলেছে।
সূত্র : সিএনএন, এএফপি