প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আওতায় বর্তমানে ৩টি প্রকল্প চলমান আছে। ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউটস শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প চলছে। ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলায় স্কাউটস ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আঞ্চলিক স্কাউটস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ক্লাব স্কাউট প্রকল্প ব্যস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কাউট ক্লাব দল গঠন এবং ক্লাব স্কাউট প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মৌচাকের অনুকুলে ৯৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক স্কাউট প্রশিক্ষন কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল পৌনে ১১ টার দিকে অনুষ্ঠান স্থালে পৌছান। সকালে প্রধানমন্ত্রী স্কাউট প্রশিক্ষন কেন্দ্রে পৌছালে তাকে স্কার্প ও টুপি পরিয়ে সম্মান জানানো হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন অঞ্চলের স্কাউটদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কাউট প্রশিক্ষন কেন্দ্রের এই ভূমিতে বনায়ন ধ্বংস করা যাবে না। সৌন্দর্য রক্ষা করতে হবে। একটি স্টুডিও নির্মান করা হয়েছে। আধুনিক সুইমিং পুল নির্মান কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি এডভান্চার ট্রেনিং স্টেন্টার নির্মাণের লক্ষে ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছি। দেশের সকল জেলা উপজেলায় স্কাউট ভবন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আমরা নির্মান করে দিব। আমাদের লক্ষ দেশের স্কাউটিং সম্পসারণের মাধ্যমে শিশু কিশোর যুবদের আন্মনির্ভরশীল ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা হোক। আমরা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুটি করে ক্লাব স্কাউট ও রোবার স্কাউট দল করার নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের লক্ষই হচ্ছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আর সেই লক্ষ নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাই আমাদের প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাইমারি স্কুল থেকে উচ্চ লেভেল পর্যন্ত স্কাউটিং হবে। এখন আমাদের ২২ লাখ সদস্য আছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ করা হবে। কিন্তু আমার লক্ষ্যটা থাকবে যেন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ প্রপ্ত হয়। এবং সেই ব্যবস্থাটা যেন করা হয়। তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমার দেশ সোনার বাংলা গড়ার বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উপযুক্ত নাগরিক তৈরি হবে।
সমাপনি অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাত, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল।