নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ে শীত মৌসুমে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বসে অস্থায়ী হাট। এ সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয় শাক-সবজি, মাছ, হাঁস ও মুরগী। বিশেষ করে সবজি ক্রয়ের জন্য ভিড় থাকে বেপারীদের। টাটকা এসব সবজির চাহিদা মেঘনার পূর্ব পাড়ে বাজারগুলোতে। মুহুর্তের মধ্যে কয়েক লাখ টাকার বেচা-কেনা হয় এই হাটে।
বুধবার সকালে উপজেলার তেলির মোড় লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে এই হাটের বিকিনিকি। ভোর থেকেই মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড় নীল কমল ইউনিয়নের মাঝের চর, ইশানবালাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি চর থেকে ট্রলার করে শাক-সবজি, মাছ, হাঁস ও মুরগী নিয়ে আসছেন লোকজন। এরমধ্যে চরাঞ্চলের লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, বেগুন, আলু, মরিচ, ধনিয়া পাতা, কাঁচা ও পাকা কলা বেশী আমদানি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদ বিল্লাহ ও গিয়াস উদ্দিন সবুজ জানান, চরাঞ্চলের মানুষ জীবন-জীবীকা নির্বাহ করেন কৃষি কাজ ও মৎস্য আহরণ করে। শীত মৌসুমে মনোরম পরিবেশে তেলির মোড় লঞ্চঘাটের এই হাট জমজমাট থাকে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ছুটে আসে টাটকা সবজি ও মাছ ক্রয় করার জন্য। তবে ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে সকাল পৌঁনে ৮টা থেকে ৮টার মধ্যে বাজার শেষ হয়।
উপজেলার উত্তর আলগী থেকে আসা ক্রেতা মানসুর জানান, চরাঞ্চল থেকে আসা মাছগুলো বরফ ছাড়া। পোয়া মাছ প্রতি কেজি ১২০-১৫০টাকা, বাটা মাছ প্রতি কেজি ১৫০-২০০টাকা, মিশ্রিত ছোট মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, গুড়া চিংড়ি ১০০-১২০ টাকা কেজি। বেশীর ভাগ ছোট মাছই নিয়ে আসে জেলেরা।
পাইকারী সবজি বিক্রেতা সেলিম মুন্সী জানান, চরাঞ্চল থেকে আসা শাক-সবজি খুবই টাটকা। দামও কম। পাইকারী প্রতি কেজি টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ১০-১৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০টাকা, কুমুড় প্রতি পিস ৩০-৫০টাকা, লাল শাক প্রতিকেজি ১৫-২০টাকা, মূলা প্রতিকেজি ৮-১০টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০-১২টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ২০-২৫টাকা, ধনিয়া পাতা কেজি ২০-২৫টাকা।
হাঁস-মুরগী ক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, চরাঞ্চল থেকে আসা হাঁস-মুরগী ক্রয় করে আমরা শহরে নিয়ে বিক্রি করি। আবার অনেক সময় হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছেও বিক্রি করা হয়। একজোড়া দেশি হাঁস ক্রয় করা হয় সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। একজোড়া ছোট সাইজের মুরগী ৪০০-৫০০ টাকা।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য হাইমচর এলাকার খুরশিদ আলম শিকদার জানান, মেঘনা পাড়ে অনেক আগে থেকেই বসে এ অস্থায়ী হাট। নদীর পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলের মানুষরা ট্রলার করে খুব সহজেই এখানে এসে নিজেদের উৎপাদিত হাঁস-মুরগী, মাছ ও সবজি বিক্রি করতে পারেন। তবে এই হাটের কোনো ইজারা নেই।
Posted ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin