মঙ্গলবার ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শালা-দুলাভাইয়ের কিলিং মিশন, নেপথ্যে ২৫ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সিঙ্গাপুর প্রবাসী নুরুল আমিনকে হত্যায় পর লাশ ফেলে দেওয়া হয় নদীতে। বরিশালের মুলাদী উপজেলায় এনে তাকে হত্যা করা হয়। আদালতে এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে তারই চাচাতো ভাইয়ের শ্যালক তানিম মিয়া। প্রবাসী নুরুলের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে তারা স্বীকারোক্তি দেন।

মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার মিত্র বলেন, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য গত শুক্রবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসে তানিম। পাসপোর্ট চেক করার পর ধরা পড়ে সে হত্যা মামলার আসামি। এ সময় ইমিগ্রেশন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মুলাদী থানায় সোপর্দ করে। সেখান থেকে গতকাল শনিবার বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তানিমকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তানিম ও তার দুলাভাই (বর্তমানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী কামরুল ইসলাম) এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। হত্যার শিকার নুরুল আমিন ও কামরুল ইসলাম সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এ দুজন সিঙ্গাপুরে একসঙ্গে থাকতেন। সেখান থেকে নুরুল দেশে ফিরে আসেন। আর কামরুল গ্রুপ ভিসায় সিঙ্গাপুরে লোক নেওয়ার প্রলোভন দিয়ে নুরুল আমিনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু কাউকে সিঙ্গাপুর নেননি। এমনকি টাকাও ফেরত দেননি। লোকজনের ভয়ে গত বছর ৭ অক্টোবর গোপনে বাংলাদেশে আসেন কামরুল।

প্রদীপ কুমার মিত্র বলেন, কামরুল দেশে ফিরে মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেন। পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে নুরুলকে মুলাদী শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর নুরুল ও তার শালা তানিমসহ কামরুলকে নিয়ে ট্রলারে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ঘুরতে বের হন। ট্রলারে থাকাবস্থায় নুরুল মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় পেছন থেকে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন শালা-দুলাভাই। পরে হাত-পায়ে ইট বেঁধে লাশ আড়িয়াল খাঁ নদীতে ফেলে দেন।

নৌ-পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এরপর ১৩ অক্টোবর কামরুল সিঙ্গাপুর চলে যান। এর মধ্যে ১১ অক্টোবর মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর সাহেবের চর এলাকায় নুরুলের লাশ ভেসে ওঠার পর পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর দিন নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেন। বিভিন্ন থানায় সংবাদ পাঠিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে বরিশাল মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]