নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
দেশে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই সাত মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩২.৪৪৭ বিলিয়ন ডলার। যার কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২.৪৩৭ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপে যুদ্ধের দামামা আর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই চলতি বছরের শুরু থেকে রফতানি আয়ে ভালো খবর দিয়ে আসছিল। বাড়ছিল আয়। এ সময়ে দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। এই সংকটের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছিলো রফতানি আয়ে। বাড়ছিল প্রতি মাসেই। এর মধ্যে রফতানি আয়ের কার্যাদেশ কিছুটা কমেছিল। রফতানিকারকরা বলছিল, মার্চের দিকে রফতানি আয় কমে আসতে পারে। কিন্তু তার আগেই জানুয়ারি মাসে কিছুটা কমলো। যদিও চলতি বছরের প্রথম সাত মাস জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার চেয়ে কমেনি। পাশাপাশি আগের বছরের চেয়ে বেশি আছে প্রায় দশ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর জুলাই-জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২.৪৩৭ বিলিয়ন ডলার।
দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক কমলেই মোট রফতানি আয়ে এ প্রভাব পড়ে। তথ্য বলছে, তৈরি পোশাকের রফতানি কিছুটা কমার কারণে মোট রফতানি আয়ে এর প্রভাব পড়েছে। জানুয়ারি শেষে তৈরি পোশাক রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪.৩১ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ হার ছিল ১৫.৫৬ শতাংশ।
জুলাই-জানুয়ারি এই সাত মাসে মোট ২৭.৪১৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। যা মোট রফতানি আয়ের ৮৪.৫০ শতাংশ। আর ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৮৪.২০ শতাংশ। মূলত তৈরি পোশাক রফতানি আয় কমার কারণেই মোট রফতানি আয় কমেছে।
Posted ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin