শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হতাশা বেশি তরুণদের, পিছিয়ে নেই তরুণীরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

হতাশা বেশি তরুণদের, পিছিয়ে নেই তরুণীরাও

চট্টগ্রাম নগরে গত এক বছরে ২৫৯ জন আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ১৪২ জন পুরুষ ও ১১৭ জন নারী। ২০২২ সালের চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। নগরের ১৬ থানার মধ্যে ৪৮ জন নিয়ে সর্বোচ্চ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বন্দর থানা এলাকায়। আর সবচেয়ে কম একজন আত্মহত্যা করেছেন খুলশী থানা এলাকায়।

এসব আত্মহননের পেছনে পারিবারিক জটিলতা, সম্পর্কের অবনতি, লেখাপড়া নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকট মূল কারণ বলে মনে করছেন সমাজ চিন্তাবিদ ও মনোবিজ্ঞানীরা।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নগরের ১৬ থানা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ।

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়াদের মধ্যে তরুণ বয়সীদের সংখ্যাই বেশি। ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছেন ৪৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে ২৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ পুরুষ ও ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ নারী।

এছাড়া ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীর সংখ্যা আট দশমিক ৪৮ শতাংশ। যাদের মধ্যে তিন দশমিক শূন্য আট শতাংশ পুরুষ ও পাঁচ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী। ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীর সংখ্যা ২০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যাদের মধ্যে দশ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ পুরুষ ও দশ দশমিক ৮১ শতাংশ নারী। ৩৬ বছরের ঊর্ধ্বে আত্মহত্যার সংখ্যা ২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। যাদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ ও ছয় দশমিক ৫৬ শতাংশ নারী। সর্বমোট আত্মহননকারীদের মধ্যে ৫৪ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ নারী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে অকারণেই বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে সন্তানরা। কম বয়সী তরুণ-তরুণীরা এ পথে ঝুঁকছে বেশি। আত্মহত্যার এ প্রবণতা কমাতে পরিবারে কাউন্সেলিং প্রয়োজন। প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের সময় দেওয়া। সন্তান কোথায় কি করছে- তার খোঁজখবর রাখা। তাহলেই আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রচেষ্টায় নিকৃষ্ট কাজ আত্মহত্যা। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। শিক্ষাজীবন শেষ করার পর চাকরি না পাওয়া, জীবনের প্রতি হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চরম দারিদ্র্য ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কাসহ নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা বাড়ছে। এ রোগ মূলত চাওয়া-পাওয়ার পার্থক্যের কারণে সৃষ্টি হয়। আত্মহত্যা ঠেকাতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই আত্মহত্যার মত জটিল সিদ্ধান্ত থেকে যে কাউকে বাঁচিয়ে তোলা যাবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৪১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

দেহাতি চিকেন
(209 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]