
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ঠাকুরগাঁও পাইকারি বাজারে শীতকালীনসহ সব ধরনের সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে ক্রেতারা খুশি হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের সমবায় মার্কেট পাইকারি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই তিন চাকার যানবাহনে করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীতকালীনসহ নানা রকম টাটকা সবজি নিয়ে এ বাজারে আসছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। বিষমুক্ত হরেক রকম সবজি আঞ্চলিক সড়কের পাশে সাজিয়ে কেনাবেচা শুরু হয়।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সবজির উৎপাদনও ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, স্কয়াস, ব্রকলির দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
এ বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২২ টাকা, স্কয়াস ৮ থেকে ১০ টাকা, শিম ২০ থেকে ২১ টাকা, বেগুন ১২ থেকে ১৪ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২২ টাকা, টমেটো প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৮ টাকা, মিস্টি কুমড়া ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ৪ থেকে ৬ টাকা, বাঁধাকপি ৮ থেকে ১০ টাকা ও ব্রকলি ৯ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য শাক সবজি প্রকারভেদে ২ থেকে ৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ অবস্থায় উৎপাদন খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক চাষি বলেন, ফুলকপির দাম অনেক কম। প্রতি পিস ৫ টাকা। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। তাই কৃষকের অবস্থা বেশ খারাপ।
আরেকজন কৃষক বলেন, সার, ওষুধসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের যে দাম, কৃষক কিন্তু সে অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না। কৃষিকাজে বর্তমানে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি হয়। আমাদের উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় সবজির দাম খুবই কম।
এসব সবজি কিনতে স্থানীয়সহ দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন এ পাইকারি বাজারে। তারা জানান, ফুলকপির দাম আজ তুলনামূলক কম। তাছাড়া এখানে সবজির সরবরাহ ভালো আছে আর বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বিভিন্ন সবজির দাম বেশ কম। তবে কিছু কিছু সবজির দাম দুই এক টাকা বাড়তি।
বর্তমানে এই পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত সবজি কেনাবেচা হয়।
Posted ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin