নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
শুক্রবার ছুটির দিনে বইমেলায় ঢুকতে অভিভাবকদের হাত ধরে আগে থেকেই অপেক্ষায় শিশুর দল। বেলা ১১টায় ফটক খুলতেই মেলায় ঢুকে পড়ে কোমলমতি শিশুর দল। মেলায় ঢুকেই ফেটে পড়ে বিপুল উচ্ছ্বাসে। মুহূর্তেই শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে পুরো শিশু চত্বর।
আনন্দ-উল্লাস আর খুনসুটিতে মেতে থাকলেও বই থেকে দূরে থাকেনি কোনো শিশুই। বাহারি ছবি সংবলিত নতুন বইয়ের রঙিন প্রচ্ছদ মন কাড়ে কোমলমতিদের। অভিভাবকদের কাছে বায়না ধরে কিনে নেয় নিজের পছন্দের বইটি।
ভূতের বই, গল্পের বই, সায়েন্স ফিকশন, কার্টুনের বই বেশি কিনছে শিশুরা। প্রত্যেকের হাতেই দেখা কোনো না কোনো বই। মেলায় শিশুদের বই কেনার আগ্রহে খুশি বিক্রেতারাও।
বিক্রেতারা জানান, শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন বই বিক্রি হয় বেশি। এদিন অনেক শিশুও আসে মেলায়। বই না কিনে কোনো শিশু খালি হাতে যায় না বলেও জানান তারা।
কোন ধরনের বইয়ে শিশুদের আগ্রহ বেশি জানতে চাইলে সিআরআই স্টলের বিক্রেতা জানান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিবের’ প্রতি শিশুদের ছিল বাড়তি আকর্ষণ। তাই সিআরআই-এর স্টলে ছিল শিশু-কিশোর আর অভিভাবকদের ভিড়। এ ছাড়াও গল্প, কার্টুন, ভূতের বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বেশি।
মেলায় শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু চত্বর। সেখানে সিসিমপুরের হালুমের চিৎকার হুট করেই শোনা যায় মেলা প্রাঙ্গণে। সঙ্গে রয়েছে টুকটুকি, ইকরি আর শিকু। মুহূর্তেই বদলে যায় শিশু প্রহরের চিত্র। প্রিয় কার্টুন চরিত্রের বাস্তব উপস্থাপন দেখে আনন্দে মাতোয়ারা সবাই।
অভিভাবকরা জানান, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। বাবা-মায়ের হাত ধরে হাসতে-খেলতে কোমলমতিরা আজ যে জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করল, তা অব্যাহত থাকুক সারা জীবন। এই শিশুরাই হোক আগামীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার কান্ডারি।
বইমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকে বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহর। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে এ আয়োজন চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
Posted ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin