নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে কালের কণ্ঠের সহ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেবাশীষ মিস্ত্রী। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
ঐ লিগ্যাল নোটিশে সাত দিনের মধ্যে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ইসলামী জীবন পাতায় লেখকের ক্রেডিট সহ ভুল স্বীকার করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় ‘কপিরাইট আইন-২০০০’ মোতাবেক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ মিস্ত্রী।
অ্যাডভোকেট দেবাশীষ মিস্ত্রী ঐ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা বরাবর এবং নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে কালেরকণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বরাবর।
ঐ নোটিশে বলা হয়েছে, রঞ্জনা বিশ্বাস একজন খ্যাতিমান লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রবন্ধকার। ‘ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর নৃতাত্বিক পরিচয়’ প্রকাশক মো: শাহরিয়ার জামান সুমন, মধ্যমা মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশন লি:, ১০৮ ১১৯ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, ২৫৩-২৫৪ ডা. কুদরত-ই-খুদা রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫, বাংলাদেশ থেকে মুদ্রিত।
নোটিশে অ্যাডভোকেট দেবাশীষ মিস্ত্রীর পক্ষে আরো বলা হয়েছে, বিগত ১৬ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে দৈনিক কালেরকণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতায় ‘মুসলমান হয়েও সমাজ বিচ্ছিন্ন বেদে সম্প্রদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রবন্ধের ৩৭ লাইন পরে লিখিত লাইনগুলো (এগারো শতকে ইরানে তাদের উপস্থিতি চিল পর্যন্ত) এই লাইনগুলো আমার মক্কেলের ‘বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়’ বই এর ভূমিকা অংশের ৩৪ লাইনের পর থেকে হুবহু লাইন বাই লাইন তুলে দিয়েছেন, যাহা কপিরাইট আইন-২০০০, অনুসারে চৌর্যবৃত্তির সামিল বটে।
যোগাযোগ করা হলে গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ‘গবেষকদের মূল বাধা চৌর্যবৃত্তি। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। মাঝেমধ্যেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করি। তবে না বুঝেও করতে পারেন, সেজন্য সতর্ক করতে এই লিগ্যাল নোটিশ প্রদান। এতেও যদি না শোধরায় তাহলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
Posted ৮:২২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin