চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় বাসার দুই গৃহপরিচারিকা আমেনা বেগম ও শান্তি বেগম সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাক্ষীদের জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন আসামি শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ নিয়ে মোট ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ঐদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পরদিন ১৭ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ঐদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ১৮ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।