নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূ মুরশিদা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় নওগাঁর মহাদেবপুরের ভীমপুর ইউনিয়নের জন্তিগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক নিহতের স্বামী শাহিদুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহতের শ্বশুর ছয়েফ উদ্দিন ও শাশুড়ি শাহারা খাতুন।
জানা যায়, দুই বছর আগে শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুরশিদা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের আট মাস বয়সী সোবহানা নামে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে শাহিদুল ইসলাম তার প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে সংসারে শুরু হয় কলহ। প্রায় এ নিয়ে স্ত্রী মুরশিদাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শাহিদুল। একপর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যায় কোনো এক সময় শ্বাসরোধে মুরশিদাকে হত্যা করেন শাহিদুল।
নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, শাহিদুল পরকীয়ায় জড়ানোর পর থেকে মেয়েকে অকারণে মারধর করতেন। মেয়ে পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা তাকে ধৈর্য ধরে সংসার করার কথা বলি। কিন্তু ইদানীং শাহিদুল আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। প্রতিবেশীর কাছ থেকে ফোনে জানতে পারি মেয়ে মারা গেছে। পরে জন্তিগ্রামে গিয়ে দেখি বারান্দায় কাপড় দিয়ে ঢাকা রয়েছে মেয়ের মরদেহ।
তিনি আরো বলেন, পরকীয়ার কারণে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা। মামলায় নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী শাহিদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
Posted ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin