শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লতাপাতা সরাতেই মেলে মুনিমের নিথর দেহ, হত্যার নেপথ্যের কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

লতাপাতা সরাতেই মেলে মুনিমের নিথর দেহ, হত্যার নেপথ্যের কারণ

সকালে খেলতে খেলতে বাড়ি থেকে বের হয় চার বছরের শিশু মুনিম। ঘণ্টা তিনেক পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছিল না সে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরেই পরিত্যক্ত এক কুয়ায় দেখা যায় এক পা বের হয়ে আছে। শরীরের ওপর বিছানো ছিল গাছের লতাপাতা। যা প্রথম চোখে পড়ে মুনিমের বোন তাবাসসুমের। শরীর থেকে সেই সব লতাপাতা সরাতেই পাওয়া যায় মুনিমের রক্তাক্ত নিথর দেহ।

অবশেষে পুলিশের তদন্তে জানা গেল মুনিম হত্যার কারণ। গ্রেফতার হলেন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবক।

শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত সেই যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম আমিনুল ইসলাম। ২০ বছরের আমিনুল বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ছোট চাঙ্গুরইর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আনসার আলী।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে একই গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ভরাট কুয়া থেকে মুনিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মুনিম চোট চাঙ্গুইর গ্রামের গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। ওই দিন সকাল ৮টার দিকে মুনিম খেলনা রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। একপর্যায়ে সিমেন্টের তৈরি শৌচাগারের পরিত্যক্ত এক কুয়ায় তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মুনিমকে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ ওই কুয়ায় ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নন্দীগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন মুনিমের বাবা। পরবর্তী আমিনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই ইটের অর্ধেক অংশ, রক্ত মাখা দুটি শুকনো বাঁশের অংশ, আমিনুলের রক্তমাখা পোশাক ও নিহত মুনিমের খেলনা রিকশা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল শিশু মুনিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন।

ওসি বলেন, গ্রেফতার হওয়া আমিনুলের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের এক পরিবারের দ্বন্দ্ব আছে। নিহত মুনিমের বাবা ইদ্রিস আলী আমিনুলদের প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এই ক্ষোভেই মুনিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আমিনুল।

তিনি আরও বলেন, মুনিম হত্যাকাণ্ডে আমিনুল ছাড়াও আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা তদন্তে জানা যাবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৫৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]