শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় ফাতিমা জাহানের গবেষণাধর্মী ভ্রমণগ্রন্থ ‘লখনউনামা’

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

বইমেলায় ফাতিমা জাহানের গবেষণাধর্মী ভ্রমণগ্রন্থ ‘লখনউনামা’

অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এ প্রকাশ হয়েছে পর্যটক ও কথাসাহিত্যিক ফাতিমা জাহানের গবেষণাধর্মী ভ্রমণগ্রন্থ ‘লখনউনামা’।

এই বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘মোহাম্মদ আমিন এসেছিলেন পারস্যের নিশাপুর থেকে মুঘল দরবারে কাজের আশায়। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঈমানদারীর সাথে ছোট এক রাজ্যে কাজ করে যেতে যেতে হিসাবরক্ষক থেকে সিপাহসালার, তারপর লখনউ বা অওধ রাজ্যের নবাব এর পদ পান। প্রধানমন্ত্রী বনে যান তার জামাতা সফদার জং মুঘল সাম্রাজ্যের। অওধ শাসন করেছেন বংশানুক্রমে এগারো জন নবাব। শেষ নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ। নবাব বংশের নারীরাও পিছিয়ে ছিলেননা। রাজ্য পরিচালনা থেকে শুরু করে ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলমান রাণী বা নারী তখন সাগর পার হয়ে চলে গিয়েছিলেন বিলেত, আরেক রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। হারানো রাজ্য ফিরে পেতে। শেষ নবাবের বিবি সিপাহি বিদ্রোহের সময় নবাবের বন্দী অবস্থায় লড়াই করেছেন ইংরেজদের সাথে লখনউ এ, নির্বাসিত ছিলেন নেপালে জীবনের শেষ দিন অবধি। সমাধির প্রতি আমার ভালোবাসা চিরদিনের। আমি খুঁজে বেরিয়েছি লখনউ বা অওধ রাজ্য শাসন করে যাওয়া এগারো জন নবাবের রেখে যাওয়া স্মৃতি, দিল্লী থেকে লখনউ, ফ্যায়জাবাদ, কলকাতা; বিরামহীন আমার পথচলা। কারো কবর খুঁজে পাওয়া যায়নি, কারো সমাধি মলিন, কারো মাকবারা রূপার আলোয় ঝলমল। কেউ মনোহর ইমারত তৈরি করে গিয়েছিলেন, কেউ কিছুই না নির্মাণ করে হারিয়ে গিয়েছেন।’

ফাতিমা জাহান আরো বলেন, ‘১৭০৫ সাল থেকে আজ অবধি ভারত উপমহাদেশে শিক্ষাদীক্ষা, ভাষা, আদবকায়দা, খাবার, শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য, পোশাক ইত্যাদিতে যে পারস্যদেশের প্রভাব তার জন্য এই নবাবগণের ভূমিকা তুলনাহীন। বাংলার শিল্পসাহিত্য, ভাষা, রসনায় এখনো ডাটের সঙ্গে পারস্যদেশ প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। খোদ বাংলা ভাষায় ৮০০০ ফারসি শব্দ প্রচলিত আছে। শের শায়েরী, গযল, বিরিয়ানি, ঘুড়ি উড়ানো, পশুপাখির লড়াই, বাহারি পোশাক এসবই পারস্যদেশ থেকে কালক্রমে বাংলায় এসেছে অওধের নবাবদের হাত ধরে। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে আজকের লখনউ এর পথচলা মালুম করতে গিয়ে আমি যে কতবার লখনউ, দিল্লীর চক্কর কেটেছি তা খোদাই জানেন। কলকাতায় মোলাকাত হয়েছে নবাবদের বংশধরদের সাথে। লখনউ এর অলিগলির কিসসা লিখেছি, লিখেছি নবাবদের উত্থান পতনের দাস্তাঁ। আমি এখনো লখনউ এর আদাকারীতেই বিভোর আছি। লখনউ এর মোহাব্বতে আছি।’

বইটি প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন। প্রচ্ছদ এঁকেছে আইয়ুব আল আমিন।

‘লখনউনামা’ পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলায় অনুপ্রাণন প্রকাশন এর স্টল নম্বর ৫৯২-৫৯৩ তে। অথবা অনুপ্রাণন প্রকাশন এর কাঁটাবন ও বাংলাবাজার শোরুমে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]