নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলার গতি কমে যায় খেলোয়াড়দের মাঝে। তবে ইংলিশ পেস বোলার জেমস অ্যান্ডারসনের ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টো প্রমাণ হচ্ছে। বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে, তবে বোলিংয়ে ধার এখনও কমেনি। আর কয়েকদিন আগে তো টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বর স্থানটা নিজের করে নিয়েছেন এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার। অ্যান্ডারসনের এমন পারফর্মেন্সে মোটেও অবাক নন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দারুণ পারফর্ম করেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। কিউইদের বিপক্ষে ৭ উইকেট পেয়েছেন সেই টেস্টে। এমন দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের প্রভাব পড়েছে তার টেস্ট র্যাংকিংয়েও। দীর্ঘ চার বছর টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা প্যাট কামিন্সকে হটিয়ে সেই এক নম্বর স্থানটা নিজের করে নিজেছেন ইংল্যান্ডের এই পেসার।
এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তালিকায় সবার ওপরে উঠলেন অ্যান্ডারসন। ২০০৩ সালে এই সংস্করণে অভিষেকের পর ২০১৬ সালে প্রথমবার শীর্ষে ওঠেন তিনি। সবশেষ এক নম্বরে ছিলেন ২০১৮ সালে।
আইসিসি রিভিউতে সম্প্রতি অ্যান্ডারসনের এই সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন, অনুশীলনে শতভাগ দিয়ে নিজেকে বাকিদের থেকে আলাদা রেখেছেন তিনি।
রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড সফরে কোচ হিসেবে যখনই গিয়েছি, তখনই তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার ওয়ার্ক এথিকসের প্রশংসা করতাম। এমনকি ভারতের কন্ডিশনেও অনেক সময় সে এখানে খেলার সুযোগ পেত না। তবে লাঞ্চের সময় কিংবা দিনের খেলা শেষ হতেই অথবা খেলা শুরুর পূর্বে সে বোলিং করত। সে হয়তো মোটে ২০ থেকে ২৫ বল করত। কিন্তু প্রতিটি বল সে তার সর্বোচ্চটা দিত। মাঝে মাঝে আমি আমার ফাস্ট বোলারদের বলতাম, শুধু একে (অ্যান্ডারসন) দেখ। তার পেশাদারত্ব, ওয়ার্ক এথিকস দেখ।’
অ্যান্ডারসনের পেশাদারত্বে মুগ্ধ হয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘৪০ বছর বয়সে কেউ খেলতে পারবে না এবং এই ধরনের সাফল্য পাবে না, যদি না সে সর্বোচ্চ ফিট হয়। তাকে টুপি খোলা অভিনন্দন। আমাকে বলতেই হবে, দারুণ কাজ করেছ জিমি।’
Posted ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin