নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার আমবাগানগুলো। তীব্র শীতের কারণে এবার অন্তত ২০ দিন পর গাছে এসেছে মুকুল। আর এসব মুকুল দেখেই বাগানের দাম হাঁকছেন বেপারিরা। জেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে সাড়ে ৪ লাখ টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
শীতের বিদায়ের মধ্য দিয়ে গাছে গাছে শোভা ছড়ানো আমের মুকুল জানান দিচ্ছে মধু মাসের আগমনী বার্তা। নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার বাগানগুলোতে একসঙ্গে ফোটা আমের মুকুল ছড়াচ্ছে সৌন্দর্য। গাছে গাছে বিপুল মুকুলের সমারোহ জানান দিচ্ছে ভালো ফলনেরও।
তীব্র ঠান্ডার কারণে এবার বরেন্দ্র এলাকায় অন্তত ২০ দিন পর গাছে আসে মুকুল। গাছে দেরিতে মুকুলে এলেও বিপুল সমারোহ আর ঘনত্ব দেখে উজ্জীবিত বাগান মালিকরা। এসব মুকুল ঝরে পড়া রোধ আর ভালো ফলনে বাগানগুলোতে চলছে নিবিড় পরিচর্যা। এদিকে গাছে মুকুল দেখেই বাগান কিনতে দরদাম হাঁকছেন বেপারিরা।
বাগান মালিক মো. সোহেল রানা বলেন, এবার অফ ইয়ার হলেও আমের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে মুকুল দেখে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুকুলের সুরক্ষায় যেনতেন কীটনাশক প্রয়োগ না করে, সকাল-বিকাল গাছের গোড়ায় পানি দেয়ার পরার্মশ কৃষি বিভাগের।
এ বিষয়ে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মুনজুর এ মওলা বলেন, যেসব গাছে শতভাগ মুকুল এসেছে, সে গাছে ছত্রাকনাশক দিতে বলা হচ্ছে।
লেংড়া, খিরসাপাত, গোপালভোগ, আম্রপালি, ব্যানানা, বারি ফোরসহ অন্তত ২৫ জাতের সুস্বাদু আম উৎপাদন হয় বরেন্দ্র এলাকার বাগানগুলোতে।
জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট বড় সাড়ে ১২০০ আমবাগান রয়েছে, চলতি মৌসুমে এসব বাগান থেকে সাড়ে ৪ লাখ টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
Posted ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin