শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভাষার মাসে শহিদ মিনারে এসেছে প্রকৃতির পুষ্পার্ঘ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

চলছে ভাষায় মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাঙালিসহ বিশ্বের অনেক জাতি। এ উপলক্ষে পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে যায় ভাষা শহিদদের স্মরণে গঠিত সব শহিদ মিনারগুলো। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে দেওয়া হয় ফুলগুলো।

তবে এবার প্রকৃতিই যেন পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহিদ মিনারে। শহিদ মিনারের সম্মুখের ফুলবাগানের গাছগুলো নিজের সর্বস্ব দিয়ে রাঙিয়ে তুলেছে এ চত্বরকে। ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতেই যেন প্রকৃতির এই মহাযজ্ঞ।

বাগানে সালভিয়া ও কসমস ফুলে প্রকৃতি যেন রাঙিয়ে তুলেছেন শহিদ মিনারকে। এছাড়াও গাঁদা, বোতল ব্রাশসহ আরো নানা প্রজাতির ফুল রয়েছে মিনারটির আশেপাশে। এসব বাহারি ফুলের রঙ শহিদ মিনারের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ আর এর সৌরভ আশেপাশের পরিবেশকে করে আরো নান্দনিক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শ্যামলী তানজিন অনু বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসটি যেন এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই বাঁপাশে চোখে পড়ে শহিদ মিনার। প্রতি বসন্তে গাছে গাছে যেমন নতুন পাতা জন্মায় ঠিক একইভাবে যেন এই শহিদ মিনারের সৌন্দর্য শতগুণ বেড়ে যায়। শহিদ মিনারের সামনেই ফুটে থাকে গাঁদা, কসমস, ডালিয়াসহ বাহারিসব ফুল। ফুলের শরীরে মৌমাছির লুকোচুরি আর মধু সংগ্রহ তো আছেই। প্রকৃতি যেন নিজ হাতেই এই সৌন্দর্য স্থাপন করে দিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক রেজা খান বলেন, ‘শহিদ মিনারের সামনের ফোটা ফুলগুলোর দৃশ্য দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ভাষা শহিদদের।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মালির দায়িত্বে থাকা আলতাফ হোসেন বলেন, নিজের হাতে ফুলের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করেছি। এরপর যখন ফুলগুলো ফোটে তখন খুব ভালো লাগে আর যখন ছেলেমেয়েরা এসে ফুলের সঙ্গে ছবি তোলে, তখন দেখতেই সুন্দর লাগে।

প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পর ২০১১ সালে ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয় একটি পূর্ণাঙ্গ শহিদ মিনার। ক্যম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ এ শহিদ মিনারটির মূল বেদি থেকে ১১৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৭৫ ফুট প্রস্থ। মাটির ওপর থেকে মূল বেদি ৯ ফুট উপরে। মিনারটির মূল আয়তন ৪০০-২০০ বর্গফুট। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]