নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
সিলেটের জৈন্তাপুরে ২৭ বছর পর নতুনভাবে গম উৎপাদনে উৎসাহী হয়েছে কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সরকারিভাবে সহযোগীতা পেয়ে গম চাষ করেছেন অনেকে। বাম্পার ফলনও হয়েছে। গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন করে গমের ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশায় স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। ধান কেটে নিয়ে গম চাষের সুযোগ থাকায় কৃষকরা এখন ধানের পাশাপাশি গম চাষে ঝুঁকছেন।
জানা গেছে, করোনা ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রায় ২৭ বছর পর গম চাষে উদ্যোগী হয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলার কৃষকরা। এর আগে অনেকে গম চাষ করতেন। তবে ফলন ভালো না হওয়ায় লাভের মুখ দেখতেন না। এবার উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় একশ বিঘা জমিতে গম চাষ হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি উন্নত জাতের গমের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেয়া হয়েছে।
চাষিরা জানান, এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরার মধ্যেও গমের ফলন ভালো হয়েছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে গম চাষ করবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার দরবস্ত ইউপির নিজাম উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন, আমজাদ আলী, সালেহ আহমদসহ কয়েকজন গম চাষি জানান, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গম চাষাবাদ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি ২০ মণ গমের ফলন হবে বলে জানান তারা।
উপজেলার খলা গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী বলেন, ‘গম চাষে খরচ কম। এ বছর দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। গমের কোন কিছু ফেলতে হয়না। গম বিক্রির পর গমের খড় গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয় না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, জৈন্তাপুর উপজেলায় এ বছর একশ বিঘা জমিতে গম চাষাবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি উন্নত জাতে গম বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গম চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষের খরচ কম। দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে কৃষদের আগ্রহ বেড়েছে।
Posted ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin