শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক বউ নিয়ে দুই স্বামীর সংঘাত, অতঃপর…

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করেন আরেক যুবককে। এরপর একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে থাকেন এক তরুণী। তবে স্ত্রীর এ বিষয়ে দুই স্বামীর একজনও জানতেন না।

ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। ঐ তরুণী গোপনে দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার করছিলেন। তবে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তুমুল সংঘাতের সৃষ্টি হয়। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐ তরুণীর প্রথম স্বামীকে সহযোগীসহ দ্বিতীয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছেন।

এ খবর পেয়ে পুলিশ ও গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইমাম আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ তরুণীর প্রথম স্বামী ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভার মো. হিমেল আহাম্মেদ ও তার সহযোগী মো. আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করেন।

জানা যায়, ঐ তরুণী প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই মা-বাবার কথামতো কাওয়াখোলা গ্রামের মোহাম্মদালী কেরিনার ছেলে কাজলকে বিয়ে করেন। এরপর একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গে সমানতালে ঘর-সংসার করতে থাকেন ঐ তরুণী। বিষয়টি দুই স্বামীর একজনও জানতেন না। তিনি প্রথম স্বামীর কাছে খালার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে চলে আসেন।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ায় প্রথম স্বামী মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বাছট গ্রামের হিমেল আহাম্মেদ কুশুরা ইউনিয়নের পানকাত্তা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনকে সঙ্গে ঐ তরুণীর দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতে যান। এরপর দ্বিতীয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এসে ঐ দুইজনকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে ঐ তরুণীর ইচ্ছানুযায়ী প্রথম স্বামীর হাতেই তাকে তুলে দেওয়া হয়। তবে প্রথম স্বামীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়।

ঐ তরুণী জানান, তিনি ভালোবেসে হিমেলকে কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘর সংসার শুরু করেন। তবে এতে তার মা-বাবা মোটেও খুশি হতে পারেননি। তারা এ বিয়ে মেনেও নেয়নি। পরে তারা সব তথ্য গোপন করে তালাক না করেই কাজলের সঙ্গে ঐ তরুণীকে দ্বিতীয় বিয়ে দেন।

প্রথম স্বামী হিমেল আহাম্মেদ বলেন, স্ত্রী আমাকে অনেক ভালোবাসে বলেই এসব ঘটনা জানার পরও তাকে মেনে নিয়েছি।

দ্বিতীয় স্বামী মো. কাজল জানান, তিনি বিষয়টি আগে জানতেন না। জানলে আরেকজনের বউকে বিয়ে করতেন না।

ধামরাই থানার এসআই ফয়েজ আহাম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]