নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের ফরিদপুরের গণশুনানী একসপ্তাহ পরেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে (দুদক) ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে উপস্থাপিত ৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাকি ৭৪টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ অর্জনের অভিযোগ প্রথামিক অনুসন্ধানে প্রমাণ হওয়ায় কমিশন এই নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুদক উপ-পরিচালক রেজাউল করিমের স্বাক্ষরে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন এর আগে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজের ও স্ত্রীর এবং আত্মীয় স্বজনের নামে ও বেনামে অবৈধভাবে সম্পদ ও বিপুল অর্থ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তার নিজের ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রেরিত সম্পদ বিবরণীর চিঠি প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তা লিখিত আকারে দুদককে জানাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করিলে আইনের ধারা ২৬ এর উপধারা ২ মোতাবেক মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে জানায় দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় উপ-পরিচালক।
দুদকের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্ত্রীসহ স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।’ চিঠি পাওয়ার পর অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস এবং তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরিত সংযুক্ত ছকে দাখিল করতে বলা হল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করতে পারলে, ব্যর্থ হলে বা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইন ২৬ এর উপ-ধারা (২) মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, চিঠি পেয়েছি। আমি চেষ্টা করছি সঠিক ভাবে আমার বক্তব্য তুলে ধরেতে, আশা রাখি কোন সমস্যা হবে না।
Posted ৩:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin