শেখ মেহেদী হাসান। যে বিপিএল দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু, সেই বিপিএলেই সর্বনাশ। জাতীয় দলের তরুণ এই স্পিনিং অলরাউন্ডার চোট নিয়ে ম্যাচ খেলে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন। বিপিএলে চোটে পড়ার পরও মাঠে নামায় বড়সড়ো নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসতে পারে বলে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিপিএলে রংপুরের হয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পান মেহেদী। সে সময় চোটের অবস্থা বেশ গুরুতর ছিল। ফলে বিসিবির চিকিৎসকরা তাকে অন্তত পাঁচ সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে পাঠান। কিন্তু সেই বিশ্রামের তোয়াক্কা করেনি তার দল রংপুর রাইডার্স। অভিযোগ রয়েছে, শেখ মেহেদীকে রংপুর বাধ্য করে প্লে-অফের দুই ম্যাচ খেলতে। তাতে ব্যথার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য শেখ মেহেদীর ওপর ক্ষুব্ধ হয় বিসিবি। তাকে তলব করে ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। সেখানে বিসিবির শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন মেহেদী।

মেহেদী বলেন, ‘আমি তো বিপিএলের জন্যই ওই দলের হয়ে খেলতে গিয়েছি। তারা যদি ফোর্স করে তাহলে আমি কী করতে পারি? কোয়ালিফাই ম্যাচ বলে তারা আমাকে খেলতে চাপ দিয়েছে। আমি ওই সময় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিলাম। তারা ওই দিক থেকে কী কী করেছে তারাই ভালো জানে। আমাকে তারা বলছে খেলার জন্য। আর একজন ক্রিকেটার হিসেবে বড় ম্যাচ খেলতে আমারও ইচ্ছে থাকে। প্লেয়ার হিসেবে অনেকেই ইনজুরি নিয়ে খেলে, তবে আমার ভুল হয়েছে। কারণ, আমার ইনজুরিটা বড় ছিল।’

শেখ মেহেদী আরও বলেন, ‘আমার শোল্ডারে ইনজুরি। বিপিএলের ৪ তারিখের ম্যাচে আমার বেশ ভালো একটা ইনজুরি হয়। এরপর কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ছিল ১২ আর ১৪ তারিখ। বিসিবির ডাক্তার বলেছিল ৫ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে। বোর্ডের এবং ফিজিওর দিক থেকে আমার খেলতে নিষেধ ছিল।’

এদিকে বিসিবির সূত্র জানিয়েছে, এত সহজে হয়তো নিস্তার মিলবে না মেহেদীর। শুধু গুডবুক থেকে নাম কাটাই নয়, বাদ পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সের কোনো শাস্তি হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।