নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
যাত্রীসেবা বাড়াতে একদিকে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অন্যদিকে আবার নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে ১৩০টি রেলস্টেশন। রেলসূত্রে জানা গেছে, শুধু লোকবল সংকটের অজুহাতে বন্ধ হওয়ার পথে আরও শতাধিক স্টেশন।
মাত্র এক যুগ আগেই হুইসেল দিয়ে ট্রেন থামত ইজ্জতপুর রেলস্টেশনে। প্রাঙ্গণজুড়ে ছিল যাত্রীদের কোলাহল। একসময়ের জমজমাট সেই স্টেশন নীরব হয়ে যায় ২০১৩ সালে। এখন সেটি ধুলায় মলিন, একেবারেই একা।
জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এটি গড়ে ওঠে ১৯৬৭ সালে। অর্ধশতাব্দী লাখ লাখ যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে তার নিজ গন্তব্য এখন ধ্বংসের দিকে।
স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে স্টেশনকেন্দ্রিক গড়ে ওঠে ব্যবসা বাণিজ্য। উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়েও বিড়ম্বনায় কৃষকরা।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এই স্টেশনটি আগে খুবই জমজমাট ছিল। ১০ গ্রামের লোকজন এখান থেকে ট্রেনে উঠতাম। ঢাকা- টঙ্গীতে গিয়ে বিভিন্ন ফলমূলের ব্যবসা করতে পারতাম। কিন্তু এখন সেটা কঠিন হয়ে গেছে। এত অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
দীর্ঘদিন অবহেলা অযত্নে পুরো স্টেশনের ভগ্নদশা। ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে কর্মচারীদের জন্য বানানো দুটি আবাসিক ভবন। নষ্ট হয়ে গেছে সিগন্যালের আধুনিক যন্ত্রপাতিও।
গত ১০ বছরের রেলের উন্নয়নে খরচ হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। এরপর এখনো বন্ধ রয়েছে ১৩০টি স্টেশন। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করলে একটু হলেও আয় বাড়বে বছরে হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়ে চলা রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘দুটি কারণে লভজনক স্টেশনগুলো খুলে দেয়া প্রয়োজন। প্রথমত, যাত্রীসেবা মিলবে; দ্বিতীয়ত, রেলে রজস্ব আয় বাড়বে।’
তবে এরই মধ্যে বন্ধ স্টেশন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই বছরের মধ্যে ৫০টি স্টেশন খুলে দিতে পারব। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে খুলে দেব।’
Posted ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin