নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা—এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা মূল্যবান হলুদ ধাতুর দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ায় এ বছর সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ডলার অতিক্রম করবে এবং বছরজুড়েই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। তাঁদের মতে, সুদের হার বৃদ্ধি এবং মন্দা আতঙ্কে বাজারে অস্থিরতা রয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ করছেন অনেকেই।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্রয়ের কারণে সোনার বার, কয়েন ও অলংকারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের নির্বাহী পরিচালক ওয়েনে গর্ডন বলেন, ‘আশা করছি ২০২৩ সালেই সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ডলার অতিক্রম করবে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর সুদের হার বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হলেও এখন আবার দুর্বল হচ্ছে। এ অবস্থায় ডলারের বিপরীতে নিরাপদ ঢাল হতে পারে সোনা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ডলার ছাড়ায় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে। এরপর দাম আবার কিছুটা কমে আসে। ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৮১৪ ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার মূল্য অনেক। বিশেষ করে অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে। মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমবিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামলাল আহমদ বলেন, ‘মূল্যবান ধাতু সোনা সম্পর্কে আস্থা রাখা যায় যে নিকট ভবিষ্যতে এটির দাম কমবে না, বরং বাড়বে। এমনকি আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে দাম কিছুটা কমলেও এটির স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী থাকা।’ তাঁর মতে, এ কারণেই সোনার চাহিদা ও দাম বাড়ছে। সূত্র : খালিজ টাইমস
Posted ১:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin