নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি ওয়াইড কিংবা নো বলের ভুল সিদ্ধান্ত যেকোনো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এ নিয়ে ২২ গজে নানা সময়ে বেশকিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনাও দেখা গেছে।
ক্রিকেটের মাঠে এমন ঘটনা এড়াতে বছরখানেক আগে ওয়াইড এবং নো বলকে ডিআরএসের আওতায় চেয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। একইসঙ্গে ওয়াইড, নো বলে রিভিউ সিস্টেম চেয়েছিলেন বিরাট কোহলিও।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) সে পথে পা না বাড়ালেও এগিয়ে এসেছে ভারত।
ছেলেদের ও মেয়েদের আইপিএলে ওয়াইড এবং নো বলে রিভিউ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আইপিএলের চলতি মৌসুম থেকে অবশ্য এটা শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না।
নারী প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম থেকে জানা যায়, একজন ব্যাটার আউট হয়েছে কিনা সেটার জন্য প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নিতে পারেন। সেই সঙ্গে কোনো ক্রিকেটার ওয়াইড কিংবা নো বলের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে চাইলে সেটাও করতে পারবে।
রিভিউগুলো দলের দুটি অসফল রিভিউ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। লেগ বাই কল যাচাই-বাছাই এর বাইরে রাখা হবে। নারী আইপিএলে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকেই এই নিয়ম ব্যবহার করা হচ্ছে।
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট জায়ান্টস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গুজরাটের ব্যাটিং ইনিংসের সময় মনিকা প্যাটেলের বিপক্ষে বোলিং করছিলেন সাইকা ইশাক।
মুম্বাইয়ের এই স্পিনারের একটি ডেলিভারিতে লেগ সাইড দিয়ে যাওয়ায় ওয়াইড দিয়েছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার। সেসময় রিভিউ নেয় মুম্বাই। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি মনিকার গ্লাভসে লেগেছে। যার ফলে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন অন ফিল্ড আম্পায়ার।
এছাড়াও টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে দেখা গেছে ভিন্ন আরেক ঘটনা। দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিং করছিলেন মেগান শ্যূট।
খানিকটা উঁচু হওয়া ডেলিভারিতে চার মেরেছিলেন জেমিমা রদ্রিগেজ। আম্পায়ার নো বল কল না করায় সেটি রিভিউ নেন জেমিমা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি নো হয়নি। পরে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকেন আম্পায়াররা।
Posted ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin