নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
নদী খনন করে সেই মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতেই। ফলে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না; বরং খননের নামে ‘অপচয়’ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এমন অভিযোগ ওঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বৌলাই নদী খননে।
স্থানীয়রা জানান, খননের জন্য চার বছর ধরে এ নদীতে ড্রেজার মেশিন দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে মেশিন চালিয়ে খননকাজ করা হয়। আবার বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে ড্রেজার মেশিন। এতে যে অংশ খনন করা হয়, পলি পড়ে আবার সেই অংশ ভরাট হয়ে যায়। সময় পেরিয়ে গেলেও খননকাজ আর শেষ হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এআরকে নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন সংলগ্ন বৌলাই নদীর ৬ হাজার ৭০০ মিটার অংশ খননের কাজ পায়। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। দুবছর মেয়াদের এই কাজ চার বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। খননের বাকি আরও ১৪০০ মিটার, যার ৭০০ মিটার ড্রেজারে আর বাকি ৭০০ মিটার এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে খনন করা হবে বলে জানা যায়। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদী খননের মাটি নদীর পাড়েই ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Posted ৫:২২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin