
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
চলছে ফাল্গুন মাস। এ মাসে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের সোনালী মুকুল। ভালো ফলন পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে ব্যতিক্রমী এক পদ্ধতিতে গোলাম মোস্তাফা নামে এক চাষির বাগানে দুই হাজার গাছে দুলছে কাটিমন জাতের বারোমসি আম। এ আম আগামী রমজান মাসে বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির এলাকার নয়ানগরে গোলাম মোস্তফার আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ বিঘা জমিতে সারি সারি লাগানো আছে কাটিমন জাতের প্রায় দুই হাজার আম গাছ। গাছের ডালে ডালে ধরে আছে আম। এ আম পরিপক্ক হবে আরো প্রায় ২০ দিন পরে। আবার কিছু গাছে এখন মুকুলও ফুঠছে। এগুলো ধরবে আরো ২০ দিন পরে। এ আম দেখে গোলাম মোস্তফার আশা আগামী রমজানে এই আম বিক্রি করবেন তিনি।
গোলাম মোস্তফা বলেন, সিজিনাল আমে লোকশান গুনে গড়ে তুলেছি কাটিমন জাতের এই আম বাগান। কাটিমন আম বছরের যেকোনো সময় উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বেশি দামে বিক্রিও করা যায়। গত বছর এ সময় আম উৎপাদন করে রোজায় বিক্রি করেছিলায় ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে। এবারও আমার বাগানে প্রায় দুই হাজার গাছে আম ধরে আছে। আশা করছি এবারও ৪০০-৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে পাবরো।
তিনি আরো বলেন, এখন সবার আম বাগানে মুকুল ফুটেছে। কিন্তু আমার গাছে আর রয়েছে। কারণ আমি আগেই চিন্তা করেছি যে রমজানে আমি আম বিক্রি করব।
তিনি বলেন, অনেক আম ব্যবসায়ী বলছেন, আম বাগানে তেমন আয় হচ্ছে না। কিন্তু আমের বাগান করে এখনো স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তবে পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসার ধরণ। যে সময়ে আমের দাম বেশি পাওয়া যাবে সে সময়ে গাছে আম ধরাতে হবে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কাটিমন মূলত একটি নাবি জাতের আম। এ আমে গাছ ভালো পরিচর্যা করলে বছরে তিনিবার ধরানো সম্ভব। জেলার এখনো কিছু কিছু স্থনে কাটিমন আম রয়েছে। তারা রমজান মাসে বিক্রির জন্য রেখেছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায়। দিন দিন এই আম চাষির সংখ্য বাড়ছে। আমি এ বছর কাটিমন আম চাষ করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে গাছগুলোতে ঝুলছে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম। এ মুকুলগুলো হয়েছিল দুই মাস আগে। এখন অঅবার সেই গাছগুলোতে মুকুল হচ্ছে। এই জাতের আম গাছে বছরে তিনবার মুকুল আসে। আর চাষিরা এখন আল্ট্রা হাইডেনসিটি (অতি ঘন) বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি গত এক দশকে ছোট গাছের জাতগুলোর সম্প্রসারণ হয়েছে জেলায়। আর সিজিনাল আমের দাম কম পাচ্ছেন। কিন্তু এই বারোমাসি আমগুলোর দামও ভালো।
তিনি আরো বরেন, জেলায় ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন।
Posted ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin