
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) দু’টি অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় ম্যাক্রোঁকে। পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করায় সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার। তবে খুবই অল্প ব্যবধানে টিকে গেছে বর্তমান সরকার।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে ফ্রান্সের রাজপথে গত এক সপ্তাহ যাবত বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোয় এখন পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁর সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা ভোটটি উত্থাপন করেন মধ্যপন্থী এমপিরা। এই ভোটে ম্যাক্রোঁর প্রতি অনাস্থা জানান ২৭৮ জন এমপি। তার সরকারের পতনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮৭টি ভোট।
যদি ম্যাক্রোঁ অনাস্থা ভোটে হেরে যেতেন তাহলে তাকে নতুন সরকার গঠন করতে হতো অথবা নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হতো। এছাড়া মেরিন লঁ পেন্সের উগ্রডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি পার্টির উত্থাপিত দ্বিতীয় অনাস্থা ভোটও সফল হয়নি। এখন যেহেতু অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হয়েছে, ফলে ম্যাক্রোঁর পেনশন বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি দ্রুত সময়ে আইনে রূপ নেবে।
পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির কারণে ক্ষীপ্ত হন দেশটির বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৯:৩ ধারার ক্ষমতাবলে কোনো ভোট ছাড়াই এ বয়সসীমা বৃদ্ধি করেন।
তবে অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হলেও যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তারা সংসদের ভেতর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দাবি করেন, পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। সংসদের ভেতর একজন এমপি একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। সেখানে লেখা ছিল ‘আমরা রাস্তায় মিলিত হব।’
এদিকে ফ্রান্সে আগে ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করলেই পেনশন মিলত। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি তরুণদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সংসদে অনাস্থা ভোট উত্থাপনকারী চার্লস দে কার্সন বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে একমাত্র চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট বন্ধ করা সম্ভব।’
সূত্র: বিবিসি
Posted ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin