ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পকেটে থাকা লক্ষাধিক টাকার উৎস খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, লাশের পকেটে থাকা টাকার উৎস উদঘাটন করা গেলেই এ হত্যার কারণ জানা যাবে। এমনকি লাশের পাশে পড়ে থাকা স্মার্ট ফোনটির রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরিবারের দাবি, এত টাকা তার কাছে থাকার কথা না এবং স্মার্ট ফোনটি তার নয়।

সোমবার রাতে এ তথ্য জানান শশিভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে, রোববার ১৯ মার্চ সকালে নিখোঁজ ফার্মেসি ব্যবসায়ী আব্দুল খালেকের লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শশিভূষণ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জাকিয়া বেগম।

শশিভূষণ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী এটি একটি হত্যা৷ দুর্বৃত্তরা তাকে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রেখেছে। লাশের জিহ্বা রক্তাক্ত। পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে লাশের পকেটে থাকা এক লাখ ২৩ হাজার টাকার উৎস খোঁজা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার কাছে এত টাকা থাকার কথা না। এত টাকা তার পকেটে কোথার থেকে এসেছে? এছাড়াও লাশের পাশে পড়ে থাকা স্মার্ট ফোনটিতে কোনো সিম নেই। ফোনটির ভেতরে পানি প্রবেশ করায় সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। টাকার উৎস খোঁজে বের করার পর এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের চিহ্নিত করা যাবে।

প্রসঙ্গত, রোববার ১৯ মার্চ সকালে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধানক্ষেত থেকে আব্দুল খালেকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় লাশের সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন, একটি টর্চলাইট ও এক লাখ ২৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়। যদিও পরিবারের দাবি, এত টাকা তার কাছে থাকার কথা না এবং স্মার্ট ফোনটি তার নয়।