শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের পাল্লায় পড়লে ভুগতে হয় যেভাবে!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

চীনের পাল্লায় পড়লে ভুগতে হয় যেভাবে!

গ্রামে মহাজনের ঋণের থাবায় যেমনি পিষ্ট হয় গরিব কৃষক, একইভাবে চীনা ঋণের ফাঁদে পর্যদুস্ত বিশ্বের নিম্ন মধ্যম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। সাধারণত উন্নয়নের লোভ দেখিয়ে দেশটি ঋণের এমন ফাঁদ তৈরি করে। এমন অভিযোগ পশ্চিমা দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটা বড় প্রবণতা হচ্ছে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতির বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করা। এতে অনেক ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ‘হোয়াইট এলিফেন্ট’ প্রজেক্ট নিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। পশ্চাৎপদ এসব দেশকে উন্নয়নের লোভ দেখিয়ে মূলত ঋণের ফাঁদটা তৈরি করে চীন।

যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ নেয়া অনেক ক্ষেত্রে কঠিন ও শর্ত সাপেক্ষ, সেখানে চীন মূলত দ্রুতসময়ে ও সাদা চোখে দেখা সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। কিন্তু শুরুতে সহজ মনে হলেও ধীরে ধীরে তাদের ঋণের ফাঁদে আটকে যায় ভুক্তভোগী দেশগুলো।

মূলত ২০১০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চীনা ঋণের বিস্তার ঘটেছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা ছাড়া বাকি সব মহাদেশে। মূলত ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে চীনের লক্ষ্য থাকে নিম্ন মধ্যম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। দেশটি বেশিরভাগ ঋণ দেয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জ্বালানি খাতে। বিশ্বব্যাংকের এক জরিপে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত দেয়া চীনা ঋণ গ্রহীতাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি নিম্ন মধ্যম ও মধ্যম আয়ের দেশ।

চীনা ঋণের জাঁতাকলে আফ্রিকা মহাদেশ
আফ্রিকার দেশগুলো চীনা ঋণের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বিশেষ করে জিবুতি, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, জাম্বিয়া, কেনিয়া, মিশর, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ঘানার মতো দেশগুলো চীনা ঋণের জাঁতাকলে পিষ্ট।

জিবুতির ৭০ শতাংশ দেনাই চীনা ঋণের অন্তর্ভুক্ত। জিবুতিকে ঋণ দেয়ার পেছনে চীনের সবচেয়ে বড় স্বার্থ ভারত মহাসাগরে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করা। জিবুতির মতো বেশিরভাগ আফ্রিকার দেশে সমুদ্রবন্দর তৈরিতে অবকাঠামোগত ও আর্থিক সহায়তায় চীনের আগ্রহের প্রধান কারণ একদিকে যেমনি অর্থনৈতিক, অন্যদিকে সামরিক। এছাড়া বন্দর তৈরিতে ঋণ দেয়ার সুবাদে একটি লম্বা সময়ের জন্য আফ্রিকার দেশগুলোর বন্দর চীন ইজারা নিয়ে থাকে। ২০১৬ সালে জিবুতির বন্দর ২০ বছরের জন্য চীনকে ইজারা দেয়া হয়।

বড় অবকাঠামোর পাশাপাশি চীন আফ্রিকার ৩৫টিরও বেশি দেশে ব্যাপক সংখ্যক সরকারি ভবন নির্মাণ করেছে। চীন এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৮৬টি সংবেদনশীল সরকারি ভবন, ২৪টি রাষ্ট্রপতি ভবন, ২৬টি সংসদ ও সংসদীয় অফিস, ৩২টি সামরিক অফিস এবং ১৯টি পররাষ্ট্রবিষয়ক ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করেছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে ফরাসি গণমাধ্যমের অভিযোগ: চীন এসব দেশে ভবন সংস্কারের নাম করে ও ইন্টারনেট সংযোগের কথা বলে দেশগুলোর সরকারি গোপনীয় নথি চুরি করছে, যা দেশগুলোর নিজেদের নিরাপত্তার ওপরে সরাসরি হুমকি।

চীনের ঋণ সংক্রান্ত কার্যকলাপ একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, চীন এমন সব দেশকে লক্ষ্য করে ঋণ দিচ্ছে যাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ক্ষীণ। পশ্চিমাদের দাবি, চীন জেনেশুনেই এ কাজ করছে যাতে করে দেনার দায়ে পর্যদুস্ত দেশগুলো অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বে চীন হস্তক্ষেপ করতে পারে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমা অর্থনীতিবিদ চার্লস রবার্টসন বলেন, আফ্রিকার এ দেশগুলোতে চীন তাদের ঋণ কার্যক্রম শুরু করার আগে ঋণ সংকটের ঝুঁকি ছিল ২৫ শতাংশ, যা চীনের ঋণের ফাঁদের পড়ে বেড়ে হয়েছে ৬০ শতাংশ।

এর আগে গত বছর চীনা ঋণের ফাঁদ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে চীন আফ্রিকার ১৭টি দেশের ২৩টি ঋণ মওকুফ করার ঘোষণা দেয় বলে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এতে বলা হয়েছে, এটিও চীনের এক ধরনের দুর্নাম থেকে রক্ষা পেতে গা-বাঁচানো নীতি ছাড়া আর কিছু না।

পাকিস্তানকে পথে বসালো চীন
শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানও আফ্রিকার দেশগুলোর মতো চীনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে ভুল করেছে, এমন কথা বলছেন খোদ দেশটির অর্থনীতিবিদরা।

আইএমএফের হিসাব থেকে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশ চীন। দেশটির ৩০ শতাংশ ঋণই এসেছে চীন থেকে। এর মধ্যে আবারও ঋণের জন্য চীনের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। বেইজিং ইসলামাবাদকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, যা পাকিস্তানের ৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের প্রায় ২০ শতাংশ।

এমন সময় পাকিস্তান চীন থেকে ঋণ নিচ্ছে, যখন লাহোর অরেঞ্জ লাইন প্রজেক্ট থেকে শুরু করে চীনের পরিচালিত অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের কিস্তি মেটাতে না পেরে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সারা দেশ। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে চীনকে ৫৫.৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানের, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের জন্য একরকম অসম্ভব।

২০২১-২২ অর্থবছরে পাকিস্তানকে ৪.৫ বিলিয়ন চীনা ঋণের বিপরীতে কেবল সুদই দিতে হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ বিলিয়ন চীনা ঋণের বিপরীতে পাকিস্তানকে সুদ দিতে হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ডলার। এদিকে জ্বালানিখাতে ঋণ পরিশোধের জন্য একের পর এক চাপপ্রয়োগ করে যাচ্ছে চীন। এ খাতে পাকিস্তানের কাছে চীনের পাওনা ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে পাকিস্তান পরিশোধ করেছে ২৮০ মিলিয়ন ডলার। আসল টাকা দিতেই যেখানে পাকিস্তানের নাভিশ্বাস অবস্থা, সেখানে সুদসমেত ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে পাকিস্তান চোখে-মুখে সরষে ফুল দেখছে।

এ ব্যাপারে দ্য প্রিন্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ উজাইর ইউনুস বলেন, চীন থেকে এভাবে ঋণ নিতে থাকলে ইসলামাবাদের অবস্থা কলম্বোর মতো হতে বেশি দেরি হবে না। ক্রমান্বয়ে চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ে এখন বিপদের মুখে পাকিস্তান। এখনই চীনা ঋণ থেকে মুখ ফিরিয়ে না নিলে আরও বড় বিপদে পড়বে দেশটি।

শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হবার দায় কার?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবর ছিল শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হয়ে যাওয়া। দেশটিতে মানুষের খাবার-জ্বালানির মতো মৌলিক অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়া, আইএমএফের কাছে বেইল আউট প্রার্থনা, রিজার্ভ শূন্যের কোটায় নেমে আসা থেকে শুরু করে প্রায় সব কটি খবরই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মনে।

শ্রীলঙ্কার এ পরিস্থিতির জন্য অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা দায়ী করছেন, সরকারের দুর্নীতি, অদূরদর্শী উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া ও চীনা ঋণের ফাঁদে পা দেয়ার মতো অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তকে।

বার্তা সংস্থা বিবিসির করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১০ সালে চালু হওয়া দেশটির হাম্বানটোটা বন্দর থেকে শ্রীলঙ্কা কাঙ্ক্ষিত লাভ করতে না পারায় ও চীনের ঋণ শোধ করতে অক্ষম হওয়ায় ২০১৭ সালে ১১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে বন্দরটির নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে তুলে দেয় শ্রীলঙ্কা। চীন খুব ভালো করেই জানতো, এ বন্দর থেকে শ্রীলঙ্কা সুবিধাজনক ফল পাবে না; কিন্তু এ বন্দর ব্যবহার করে চীন তাদের কাঙ্ক্ষিত সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। সেই আগের সুদখোর মহাজনের আদলে চায়না মার্চেন্টস পোর্ট হোল্ডিংসের নেতৃত্বাধীন একটি ভেঞ্চার কোম্পানি শ্রীলঙ্কাকে এক রকমের বাধ্য করে দেশটির বন্দরের কার্যক্রম ও লভ্যাংশ চীনের হাতে তুলে দিতে।

শুধু হাম্বানটোটা না, বন্দর সংলগ্ন ১৫ হাজার একর জমি চলে যায় চীনের অধীনে। এসব জমি থেকে হাজার হাজার গ্রামবাসীকে উচ্ছেদ করে তৈরি করা হয় শিল্পনগরী, যার আসল সুবিধাভোগী ছিল চীন। চীনের এমন কার্যকলাপে সহজেই বোঝা যায়, যুদ্ধ-সংঘর্ষ ছাড়াই শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে চীন।

এছাড়াও কলম্বো পোর্ট সিটি ও রাজাপাকসে বিমানবন্দরের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্টে শ্রীলঙ্কাকে উদ্বুদ্ধ করার পেছনে চীনকে দায়ী করা হয়। তবে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ভিমালারাতানা ভিজিতাপুরে বার্তা সংস্থা বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার পতনের জন্য চীনা ঋণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার থেকে নেয়া ঋণকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, চীন ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার থেকে নেয়া ঋণগুলো সাধারণত উচ্চ সুদের ও কম মেয়াদি হয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কার ১০ শতাংশ ঋণ চীনের এবং ৪৯ শতাংশ ঋণ আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের। ঝুঁকিপূর্ণ ৫৯ শতাংশ ঋণের চাপে শ্রীলঙ্কা পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ শ্রীলঙ্কাকে স্মরণকালের সেরা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

একইভাবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোও চীনা ঋণের ফাঁদে ভোগান্তির শিকার। উগান্ডার একমাত্র বিমানবন্দর, মাদাগাস্কারের সমুদ্রবন্দর, অন্যদিকে এশিয়ার তাজিকিস্তানের পামির মালভূমি হস্তান্তর, পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরের রাজস্বের সিংহভাগ চীনাদের পকেটে যাওয়ার একমাত্র কারণ চীনা ঋণের ফাঁদ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অদূরদর্শী পরিকল্পনা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ কতটা নিরাপদ?
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ছাড়াও মালদ্বীপ চীনা ঋণের চাপে পর্যদুস্ত। প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে। সম্প্রতি সিএনএন বিজনেসের সম্পাদক রিচার্ড কোয়েস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কখনই চীনা ঋণের ফাঁদে পা দেবে না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ঋণ জাপান থেকে নেয়া। এছাড়া ঋণের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ বেশিরভাগ সময় আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেই ঋণ নিয়ে থাকে।

এর আগে গতবছর অক্টোবরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে দেয়া চীনা ঋণের ব্যাপারে বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। বিদেশি ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ বাংলাদেশ চীন থেকে নিয়েছে। চীনা ঋণের ফাঁদ প্রসঙ্গটি অস্বীকার করে লি জানান, বিশ্বের কোথাও চীনা ঋণের ফাঁদ নেই।

বর্তমানে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, পায়রা বন্দরে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি, কর্ণফুলী টানেল ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো কয়েকটি প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদেশি ঋণে ঢাকা চীনের ওপর নির্ভরশীল নয়। মূলত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যই এক রকমের মেপে মেপে চীন থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছে বাংলাদেশ।

চীনের ‘ডেবট ট্রাপ ডিপ্লোমেসি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ২০১৭ সালে ভারতের এক গণমাধ্যমে। পরের বছর হার্ভাডে এর ওপরে গবেষণাপত্র বের করেন কয়েকজন ছাত্র। এর পর থেকেই সারা বিশ্বে চীনের ঋণের ফাঁদের কূটনীতি আলোচনায় আসে, যেখানে ঋণের নাম করে দীর্ঘমেয়াদে পশ্চাৎপদ দেশগুলোকে বিপদে ফেলার জন্য চীনকে দায়ী করা হয়। যদিও চীনের কর্তাব্যক্তি ও দেশটির সংবাদমাধ্যম এটিকে পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা বলছেন; কিন্তু ভুক্তভোগী দেশগুলোর ভাষ্য ও বিশ্লেষণ বারংবার চীনের নেতিবাচক উদ্দেশ্যের দিকেই ইঙ্গিত দেয়, যার অর্থ চীনের পাল্লায় পড়লে ভুগতে হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(216 বার পঠিত)
(194 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]