বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির যত কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির যত কারণ

রমজানে ব্যাসন, চিনি, ছোলাসহ বিশেষ কিছু পণ্যের বাড়তি চাহিদা দেখা দেয়। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে বেড়ে যায় এগুলোর দাম। এর প্রভাব পড়ে অন্যান্য নিত্যপণ্যেও। ফলে বাজার চলে যায় ক্রেতার নাগালের বাইরে। এ বছর রোজার আগেই অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর কারণ হিসেবে বলছেন বিশ্ববাজারে বাড়তি দাম, আমদানি খরচ ও ডলারের দাম বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি মাসে গড়ে দেড় লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। রমজান মাসে যা পৌঁছায় তিন লাখ টনে। গত বছর রমজান মাসে দেশে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮-৮০ টাকা। এবার রোজার আগেই কেজিতে ৩৭-৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। কিন্তু বাড়তি দামের কারণে চিনি কিনতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বুধবারের বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চাল, মসুর ডাল, আলু ও পেঁয়াজের দাম আগের মতোই স্বাভাবিক আছে। তবে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি, সেগুলোর দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০-২৯০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫-১৪০ টাকা। মাছের দাম সর্বনিম্ন ১৮০-২২০ টাকা। আটা ৫৫-৬৮ টাকা।

এদিকে ক্রেতাদের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও। বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একদিন পরই রোজা অথচ বেচাকেনা নেই।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাখ্যায় ব্যবসায়ীরা জানান, ভোজ্যতেল, চিনি, গম, মসুর ডাল ও ছোলার দাম বিশ্ববাজারে বেড়েছে। আবার ডলারের দাম বাড়ায় আমদানির খরচ বেড়েছে। গত বছর রোজার আগে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা, যা এখন ১০৫ টাকার বেশি। গবাদিপশু, মুরগি ও মাছের খাবারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশে সব পণ্যের খরচ ও বিক্রয় মূল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। পরিসংখ্যানে তারা জানায়, দেশে বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ১৩৫-১৬০ টাকা। এটা খুচরা পর্যায় সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া উচিত। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৫০% বেশি দামে।

আমদানি নির্ভর অধিকাংশ পণ্যের ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃত সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেই সুযোগ নিয়ে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বাজারের বর্তমান সংকট ব্যবসায়ীদের সৃষ্টি বলেও মন্তব্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]