বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে যেভাবে মিলবে পরিপূর্ণ ফজিলত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

রমজানে যেভাবে মিলবে পরিপূর্ণ ফজিলত

রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস রমজান। ১২টি মাসের মধ্যে রমজানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ এই মাসে নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন। এই পবিত্র মাসে যেকোনো ইবাদতের বিপরীতে আল্লাহ কয়েকগুণ বেশি সওয়াব দান করেন। কিছু বিষয় মেনে চললে বরকতময় এ মাসের পরিপূর্ণ ফজিলত পেতে পারেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

রমজানের গুরুত্ব তুলে ধরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, বন্ধ হয়ে যায় জাহান্নামের সব দরজা। কুমন্ত্রণাদানকারী শয়তানদের বন্দি করা হয়।’ (বুখারি)

সুতরাং মুসলমানরা এই মাসের সুযোগ নিয়ে নিজেকে সংশোধন করে নিতে পারেন। মহান আল্লাহর জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত হয়ে কাটাতে পারেন পুরো মাস। এরমধ্য দিয়ে আসতে পারে মহান আল্লাহ ঘোষিত মুমিনের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হেদায়েত।

ইফতারের সময় মিলতে পারে জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রমজান হলো নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম মাস। এ মাসে মহান আল্লাহ খুশি হয়ে অনেক জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন নবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।’ (মুসনাদে আহমদ)

তাই মুমিন মুসলমানের উচিত ইফতার সামনে নিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সহায়তা চাওয়া, জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।

বরকতময় সেহরি
এ মাসের অন্যতম সুন্নাত আমল ভোররাতে সেহরি গ্রহণ। ক্ষুধা না থাকলেও ন্যূনতম একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি হলেও সেহরিতে গ্রহণ করা উচিত।

কারণ অন্য ধমের অনুসারীরা তাদের রোজায় ভোররাতে সেহরি গ্রহণ করেন না। তাই মুসলিমদের ক্ষুধা না থাকলেও অল্প হলেও সেহরি গ্রহণ করতে হবে। আর বলা হয়েছে- সেহরি গ্রহণে বান্দার জন্য অনেক কল্যাণ রয়েছে।

রমজান কাটুক ইবাদতে
রমজানে রোজা পালন ফরজ ইবাদত। রোজা রাখার পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্ঠি অর্জনে তারাবিহ, তাহাজ্জুদ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার করবেন মুসলিমরা। তাই এখন থেকেই দীর্ঘ কেরাতে নামাজ পড়ায় অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। বেশি বেশি রুকু সেজদায় অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। তবেই রমজানের পরিপূর্ণ ফজিলত লাভ করা সম্ভব হবে।

মুমিন মুসলমানের উচিত তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনে কুরআনের ঘোষণায় নিজেদের প্রস্তুত করা। যে ঘোষণা ছিল আমাদের আগে চলে যাওয়া নবি-রাসুলদের উম্মতের জন্য ও প্রযোজ্য। আল্লাহ সুরা বাকারায় বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপরও রোজা ফরজ ছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জন করতে পার।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]