
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
নেত্রকোণার শস্য ভান্ডার খ্যাত কেন্দুয়া উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নেই কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে মোজাফফরপুর, চিরাং,কান্দিউড়া এবং পাইকুড়া ইউনিয়নে পেঁয়াজের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। বাজারে পেঁয়াজের দাম কম ফলে কৃষক বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করলেও বেশি দরের আশায় নিজ বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখছেন কেউ কেউ।
উপজেলার খালিজুরা গ্রামের চাষি শহিদ মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। পরিশ্রম তো ফাও। কিন্তু যে পেঁয়াজ পাবো তা বিক্রি করলে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পাবো।
উপজেলার মোজাফফর পুর গ্রামের চাষি কিবরিয়া বলেন, পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করছে হচ্ছে। এক মণ পেঁয়াজের ফলন পেতে ৯শ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর বাজারজাত করণের খরচও আছে। বাজারে এখন ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা মণে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবীর বলেন, চলতি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সঠিক দাম পায়নি কৃষকরা।এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের লোকজন নিয়মিত পেঁয়াজ চাষিদের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
Posted ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin