আমাদের অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায়। হয়তো ৩০ পেরনোর পরেই চুল সাদা হয়ে যায়। অনেকেই এই অসময়ের পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না। বারবার রং করে সাদা চুল ঢেকে রাখতে চান। কিন্তু কেমিকেল মিশ্রিত রং চুলে ব্যবহার করা ভালো নয়। এতে চুলের বড় ক্ষতি হতে পারে। এমন অনেক ঘরোয়া উপাদানও আছে যার সাহায্যে চুলের কালো রং ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেমন, চায়ের লিকার ব্যবহার করতে পারেন আপনি। নিয়ম জেনে নিন:

চায়ের লিকার: চায়ের লিকারে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে, যা ধীরে ধীরে চুলের রংকে গাঢ় করে তুলতে পারে। একটি পাত্রে লাল চা বানিয়ে নিন। এক্ষেত্রে, ছয় টেবিল চামচ চা ব্যবহার করবেন। কড়া চা বানিয়ে নিতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে চা ঠাণ্ডা করে নিন। চুলে ঢেলে নিন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

চা ও কফি: এই কথাটি প্রায় সবাই জানেন যে, কফি আপনার চুলকে গাঢ় বাদামি রং দিতে পারে। যদিও তা সাময়িক। আরো ভালো ফল পাওয়ার জন্যে আপনি চা এবং কফি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্যে একটি পাত্রে তিন কাপ পানি নিতে হবে। তার মধ্য়ে তিন টেবিল চামচ চা মেশাতে হবে। সঙ্গে তিন টেবিল চামচ কফিগুঁড়া মিশিয়ে দিন। অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্যে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর আঁচ বন্ধ করে দিন। ঠাণ্ডা করে নিন। মিশ্রণ ঘন হয়ে যাবে। হেয়ার কালার ব্রাশের সাহায্য়ে চুলে লাগিয়ে নিন। অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর চুল ধুয়ে নিন।

লাল চা এভাবেও ব্যবহার করতে পারেন: একই নিয়মে আপনাকে কড়া করে চা বানাতে হবে। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে অন্তত তিন চামচ চা মেশাতে হবে। ফুটিয়ে নিন। পানির রং বদলে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর চায়ের পানি ব্যবহার করুন। প্রথমে চুল ভালো করে ঐ চায়ে ভিজিয়ে নিন। তারপরেও ২-৩ বার চায়ের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আপনার চুলের রং গাঢ় ও কালো হবে।

চা এবং ভেষজ: সাতটি টি ব্যাগ নিন। এর সঙ্গে দুইটি রোজমেরি পাতা এবং দুটি অরিগ্যানো পাতা নিন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তার মধ্য়ে এই পাতাগুলো মিশিয়ে দিন। টি ব্যাগও দিন। এবার ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণ ঠাণ্ডা হওয়ার পরে ব্যবহার করুন। অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আপনি চাইলে আরো বেশিক্ষণ রাখতে পারেন। শেষে চুল ধুয়ে নিন।