শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক বছরে সরিষা উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

এক বছরে সরিষা উৎপাদন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার

সরকারের তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার প্রথম এক বছরেই দেশে সরিষার আবাদ বেড়েছে ২ লাখ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। এ সময়ে ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন তেল বেশি উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিলিটার তেলের মূল্য ২৫০ টাকা করে হিসাব করলে এক বছরেই উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার।

সোমবার (০১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে, গত বছর ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল, যা এ বছর হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর ৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছিল, এ বছর হয়েছে ১১ লাখ ৫২ হাজার টন। সুতরাং, এক বছরেই উৎপাদন বেড়েছে শতকরা ৪০ ভাগ।

দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার ১২ শতাংশ। কাজেই, বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। তাই ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ টন তেল উৎপাদন করা হবে, যা চাহিদার ৪০ শতাংশ। এর ফলে তেল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে ৮ লাখ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা, তিল, বাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদ হয়। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে তা তিনগুণ বাড়িয়ে ২৩ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বর্তমানের ১২ লাখ টন থেকে ২৯ লাখ টনে এবং তেলের উৎপাদন বর্তমানের ৩ লাখ টন থেকে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৩টি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রথমটি হলো, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বর্তমানে আবাদ করা টরি-৭, মাঘী, ডুপিসহ স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বিনা-৪, বিনা-৯, বারি ১৪, বারি ১৭ ইত্যাদি জাত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, অনাবাদি চরাঞ্চল, উপকূলের লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। তৃতীয়ত, নতুন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকালের ধানের চাষ করে রোপা আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করা হচ্ছে।

এছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের নানারকম প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রথম এক বছরেই প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০১ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]