নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ধর্মীয় স্বাধীনতাহীনতা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্রের কৃমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। বিশ্বজুড়ে ধর্মাচরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজর রাখা এ সংস্থা তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কয়েক বছর ধরেই এ বিষয়ে তারা ভারতের কড়া সমালোচনা করে চলেছে। এ নিয়ে নতুন করে চাপে পড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকার। খবর এনডিটিভির।সংস্থাটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জো বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে, ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং সেগুলোর যেসব কর্মকর্তা ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘গুরুতর লঙ্ঘনে দোষী’, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক। পাশাপাশি তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ওই সংস্থাটি ভারতকে ‘একটি বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে সুপারিশ করেছে। দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটি তোলার জন্যও বলেছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত এ সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ এর তালিকায় স্থান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তানসহ মোট ১৭টি দেশ এ তালিকাভুক্ত। ভারতের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়েছে জানিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও রাজ্য স্তরের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও ধর্মীয় বৈষম্য প্রকটতর হয়েছে। এর আগেও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগের কথা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে আমেরিকার সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অত্যন্ত দ্রুত অবনতি হয়েছে। ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করছে মোদি সরকার। সিএএ-এনআরসির কড়া সমালোচনাও করেছিল সংস্থাটি। রিপোর্টটি সামনে আসার পরই তড়িঘড়ি এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দিল্লি। ওই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করে যাবতীয় বক্তব্য খারিজ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Posted ২:৪৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin