শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি

আগামী ৭ মে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা সাবেক এমপি শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষকাল ব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণসভা এবং স্মরণিকা প্রকাশ।

আগামী ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বিকেলে মিলাদ-দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ ও স্মরণ সভা। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ গ্রহণ করবেন।

এ উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতি পরিষদ আগামী ৬ মে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক অলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতি পরিষদ প্রয়াতের ১৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ও সংবাদপত্রে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ), গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে), ভাওয়াল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমি, হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাটার গাজীপুর- ২ (গাজীপুর সদর- টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুদফা পূবাইল ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারাভোগ করেন।

২০০৪ সালের ৭ মে একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেন ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া চেয়েছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]