নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
অনিমেষ সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পক ছন্দার। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক অনিমেষ। এরপর বিয়ের কথা বলতেই খরচের টাকা দাবি করেন প্রেমিক। পরে প্রেমিকা ছন্দা তাকে এক লাখ টাকা দেন। এরপর প্রেমিকের কথামতো তার বাড়িতে গিয়ে উঠেন ছন্দা। কিন্তু বিয়ে কথা তুলতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক। একপর্যায়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েও প্রেমিককে বিয়ে করতে পারেননি ছন্দা। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ছন্দা।
জানা যায়, প্রেমিকা ছন্দা রায় চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের আরুলিয়া গ্রামের আশুতোষ রায়ের মেয়ে। প্রেমিক অনিমেশ মুজমদার বাগেরহাট সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের অনন্ত মজুমদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১৭ সালে অনিমেষের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক হয় তার। এরপর বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন অনিমেষ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে বিয়ের খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দিতে বলেন অনিমেষ। ছন্দা তাকে এক লাখ টাকা জোগাড় করে দেন। এরপর অনিমেষ ছন্দাকে তার (অনিমেষের) বাড়িতে গিয়ে উঠতে বলেন। গত ২ মে বিকেলে তিনি অনিমেষের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বললে পালিয়ে যান প্রেমিক। একপর্যায়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। এ সময় অনিমেষের মা, ভাই ছন্দাকে গালিগালাজ করে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি হতে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিয়ের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকেন তিনি।
৩ মে বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক, ইউপি সদস্য কৃষ্ণপদ এবং বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম ও অনিমেষের কাকা শান্ত মজুমদারসহ এলাকার কয়েকজন লোক বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছন্দাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর অনিমেষকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন তার পরিবারের লোকজন। এই অবস্থায় প্রতারণার হাত হতে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছন্দা।
বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক জানান, একটি মেয়ে ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকার খবর পেয়ে থানার এসআই মাইনুলকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ভালবাসার সম্পর্ক না থাকলে এমনিতে একটি মেয়ে ছেলের বাড়িতে ওঠার সাহস দেখাবে না। ১৫ দিনের সময় চেয়েছে ছেলে পক্ষ।
বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে তার সঙ্গে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লোকেরা মেয়েটিকে অনিমেষের সঙ্গে দুই সপ্তাহ পর বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর বাবার বাড়ি চলে যান প্রেমিকা ছন্দা।
Posted ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin