নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
কয়েক দফা আলোচনার পর অবশেষে মেয়ের বাড়িতে ঠাঁই হলো বৃদ্ধ দম্পতি শেরিনা বেগম ও দাহারুল ইসলামের। মেজ মেয়ে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলায় কানসাট ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে দাহারুল ইসলামের বন্ধু আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দাহারুল ইসলামের সন্তানদের নিয়ে বসে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ছেলেদের কাছে যে অর্থ-সম্পদ ছিল, তা ফেরত নিয়ে দাহারুল ইসলামের নামে ব্যাংকে রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দাহারুল ইসলাম বলেন, আমার সাত ছেলে-মেয়ে। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত। তবে কিছুদিন আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলছিল। এজন্যই তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। মূলত এ রেষারেষির কারণ অর্থ-সম্পদ। আমি তো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোনোদিন আর ছেলেমেয়েদের কাছে যাবো না। কিন্তু ইউএনওসহ আশপাশের মানুষ সবাই আমাকে ছেলেমেয়েদের কাছেই থাকতে বলছে। তাই রাজি হয়েছি। তবে আমি ছেলেদের কাছে যাবো না। তাই মেজ মেয়ের কাছে থাকতে রাজি হয়েছি।
ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, বৃদ্ধ দাহারুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বসেছিলাম। ছেলেদের কাছে যে অর্থ-সম্পদ ছিল তা ফেরত নিয়ে বৃদ্ধ দাহারুলের নামে ব্যাংকে রাখা হবে। এ জন্য তার সন্তানদের আমি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যেই সব অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধকে ফেরত দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মূলত অর্থ-সম্পদ নিয়েই দাহারুলের সন্তানদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। এখন সব সন্তানই তার বাবা-মাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তবে বৃদ্ধ দম্পতি ছেলেদের বাড়িতে যেতে রাজি নয়। তাই মেজ মেয়ের বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউএনও বলেন, দাহারুলের মেজ মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি তার বাবা-মাকে সারা জীবন সঙ্গে রাখতে চান। তাই তার বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ছেলেরাও আমাকে কথা দিয়েছে সব সময় তার বাবা-মায়ের খোঁজ রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কামাটোলা বাবুপুর গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে বের করে দেন সন্তানরা। নিরুপায় হয়ে উপজেলার পুকুরিয়া এলাকায় বাল্যকালের বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা।
Posted ৬:২২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin