নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সময়টা ভালো যাচ্ছে না আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসির। জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও ক্লাবের হয়ে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছেন তিনি। আর এ কারণেই বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) সমালোচিত হচ্ছেন এলএমটেন।
চলতি মৌসুমে তারকায় কোনঠাসা দল নিয়েও বাজে পারফর্ম অব্যাহত রয়েছে পিএসজির। ক্লাবটির হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে, সার্জিও রামোস, আশরাফ হাকিমি কিংবা লিওনেল মেসির কেউই দলকে জয় এনে দিতে পারছেন না। এজন্য ক্ষোভে ফুঁসছে ক্লাবটির সমর্থকেরা।
লিগ ওয়ানে লরিয়ার বিপক্ষে হারের পর সেই ক্ষোভে ঘি ঢালেন মেসি। অনুমতি না নিয়েই সৌদি আরবে ভ্রমণ করে বিপাকে পড়েন তিনি। এতে মেসিকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা।
মেসির বিরুদ্ধে পিএসজির এমন কঠোর সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক উইঙ্গার জেরোম রোথেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোথেন বলেন, ‘মেসিকে নিষিদ্ধ করে পিএসজি ঠিকই করেছে। কেননা এটা তার পেশাগত অসদাচারণ।’
এরপর মেসিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। কিন্তু ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে না। মাঠে নিজের পারফরম্যান্স ও আচরণের জন্য কি সে একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছে?’
রোথেনের ভাষ্যে, মেসির ওপরে টাকা ঢালা হয়েছে। ফরাসি ভাষায় কথা বলার জন্য কিংবা ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার না দেওয়ার জন্য কি সে ক্ষমা চেয়েছে? এমনকি ভক্তদের কাছেও?
তবে শুধু এবারই নয়, এর আগে মেসিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রোথেন। ভালোবাসার শহরে পাড়ি দেওয়ার পরপরই মেসিকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মেসিকে দলে টেনে ভুল করেছে পিএসজি।’ এরপর তিনি বলেন, পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে সে (মেসি) গায়েব হয়ে যায়।
এদিকে সৌদি ভ্রমণের পর ক্লাব থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন মেসি। এক ভিডিও বার্তায় মেসি বলেন, ‘প্রথমত আমি আমার ক্লাব ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাই। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম যে, ম্যাচের পর আমরা একদিন ছুটি পাব, যেমনটা সবসময়ই হয়ে থাকে। আমি সৌদি আরব সফর আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম এবং তা বাতিল করার উপায় ছিল না। এর আগেই একবার বাতিল করতে হয়েছে। আমি যা করেছি, তার জন্য আরো একবার ক্ষমাপ্রার্থী। ক্লাব কী করতে চায় সেই অপেক্ষায় আছি, আর কিছু না।’
Posted ৭:২২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin