আগামী কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাসের মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে যাবে ইউক্রেনের যুদ্ধের চূড়ান্ত গতিপথ। পাশাপাশি নির্ধারিত হয়ে যাবে ইউক্রেনের ভাগ্যও। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের সমরবিশারদ ও ব্লগার ইউরি পদোলিয়াকা। রুশ সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ওয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পদোলিয়াকা এ মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম প্রাভদার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পদোলিয়াকার মতে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে জিততে এখন দুটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করার চেষ্টা করবে। প্রথাগত রণাঙ্গনের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সাহায্যেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারে ইউক্রেন।
পদোলিয়াকা বলেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে। শত্রুরাও (রাশিয়া) আর অপেক্ষা করতে পারবে না। তারা এরই মধ্যে সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করেছে। তাই ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এখন আক্রমণ না করলে তাদের পরবর্তী আক্রমণ হবে খুবই দুর্বল। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধ করতে পারবে না।’
ইউক্রেনীয় এই বিশ্লেষকের মতে, ‘দুটি বড় যুদ্ধ হবে: বাখমুত এবং সেভারস্ক থেকে ফ্ল্যাঙ্ক অঞ্চলে। সাফল্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বলা যায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী মেলিতোপোল আক্রমণ করবে এবং বার্দিয়ানস্কের দিকে এগিয়ে যাবে।’
পদোলিয়াকা আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এমনটা করতে ব্যর্থ হলে, তারা দক্ষিণ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে পুনরায় বাখমুতে মোতায়েন করবে।’ তার মতে, কিয়েভের অন্তত একটি জয় থাকা দরকার, অন্যথায় তথ্যের লড়াইয়েও দেশটি একটি বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হবে।
