পৃথিবীতে কোন কোন সম্পর্ক এমন ভাবে তৈরী হয় যে তা রক্তের সম্পর্ককেও ছাড়িয়ে যায়। যেমন ধরে নেওয়া যাক সহপাঠী, চলার সাথী প্রবাসী বন্ধু, কয়েদী বন্ধু। পরিবার, স্বজন প্রিয়তমা ভালোবাসা ও দেশের মায়া গুছিয়ে রেখে দেয়ালবিহীন জেলখানার নাম “প্রবাস জীবন” সে জীবনে অচেনা অজানা মানুষগুলো এক সময় এতোটাই আপন হয়ে ওঠে যা সে বন্ধুত্বের স্মৃতী কেউ কখনো ভুলতে পারে না। যখন সে বন্ধুদের মাঝে অনিদ্রিষ্ট বিচ্ছেদে আচ্ছাদিত হয়, তখন মনে হয় একবার দেখতে পেলে খুব শান্তি পেতাম, এ আকুতি সকল হৃদয়বানদের মাঝে ঢেউ খেলে যায়। আর সে আকুতি আকুলতার চাহিদাটি মেটালেন একজন হৃদয়বান মহত মানুষ জনাব রাশেদ পাঠান, যিনি একদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন প্রবাসী নেতা, লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক। এ আয়োজনটি বাস্তবে রুপ দেয়া হয় রাজধানীর মিরপুর ১নং প্রিন্স গ্রুপের ৭ম তলার রেষ্টুরেন্ট ও কনভেশন হলে। অসামান্য এ আয়োজনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বুক ভরা আন্তরিকতা নিয়ে ছুটে আসে কুয়েত ফেরত বিশিষ্ঠ, সাংবাদিক, লেখক, কবি, ধন্যাঢ্য ব্যবসায়ীবৃন্দ। যথাক্রমে- রাশেদ পাঠান, জাহাঙ্গীর হোসাইন, শাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং সাংবাদিকদের মাঝে, আব্দুর রউফ মাওলা, মুরাদ হোসেন লোকমান, নেক মোহাম্মদ, এহসানুল হক খোকন, মিজানুর রহমান ও জাহাঙ্গীর হোসাইন বাবলু। এ ছাড়াও আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কবি জাহাঙ্গীর হোসাইন বাবলু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলা ইংরেজি দুই ভার্সনে প্রকাশিত পিতা/ The Father গ্রন্থটি উপহার প্রদান করেন একই সাথে বাবলু উপস্থিত সকলকে কুয়েত প্রত্যাগত সমিতিতে সকলে অংশগ্রহন করার আহবান করেন। এছাড়াও নেক মোহাম্মদ প্রবাসী কল্যান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠনের আদর্শ উদ্যেশ্য ও ভবিশ্যত কর্মসুচি ঘোষনা করেন।
আজ অনুষ্ঠান ও আড্ডার পুরো সময়টা মনে হয়েছিলো এ যেন আনন্দে ঘেরা এক টুকরো কুয়েত।