নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি টিম। সোমবার (১৫ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম প্রমুখ।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দুই হাজারের মতো ঘরবাড়ি, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে ১২ শতাধিক। সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, গলাচিপা, মাঝেরপাড়া, কোনারপাড়া, অধিকাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীনবযাপন করছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এক হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছনো হয়েছে। সরকারের বরাদ্দ পাওয়া মাত্র প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ও তালিকাভুক্তদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য ২২০০ খাবার প্যাকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০০০ জনের প্যাকেট আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি। বাকিগুলো সাগরের পরিস্থিতি ভালো থাকলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান সেন্টমার্টিন দ্বীপ সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসন-উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড মিলে ১০০০ জনের প্যাকেট বিতরণ করেছি। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। দ্বীপবাসীকে আশ্বস্ত করেছি, ক্ষতিগ্রস্তরা প্রত্যেকেই সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন। মঙ্গলবার থেকে ঢেউটিন ও নগদ টাকা পাঠানো শুরু হবে। দ্বীপবাসীকে পুনর্বাসনের কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
Posted ৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin