শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল নয়, অন্য কারো জন্য খেলেছিলেন মহসিন!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

দল নয়, অন্য কারো জন্য খেলেছিলেন মহসিন!

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে ম্যাচের নায়ক হয়ে উঠেছেন মহসিন খান। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এই পেসারের কাছেই হেরেছেন রোহিত শর্মারা। ৬ বলে ১১ রান করতে পারেননি তারা।
অথচ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নাকি দলকে জেতাতে মাঠে নামেননি মহসিন। নিজের জন্যও নয়, অন্য কারো জন্য নেমেছিলেন এই পেসার। আসলে তিনি নেমেছিলেন তার বাবার জন্য।

মহসিনের বাবা হাসপাতালে ভর্তি। তার কথা ভেবে চিন্তা হচ্ছিল মহসিনের। কিন্তু তারপরেও খেলতে নেমেছিলেন তিনি। শুধু বাবার জন্য।

ম্যাচ শেষে লখনৌয়ের পেসার বলেন, ‘এক বছর পরে আমি খেলছি। নিজেই চোট থেকে উঠেছি। আমার বাবাও গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। বাবার জন্যই আজ খেলতে নেমেছিলাম। আশা করি আমার খেলায় বাবা খুশি হবে।’

শেষ ওভারে রান-আপ কিছুটা কমিয়ে বল করেছেন মহসিন। সেই সময় কী পরিকল্পনা করেছিলেন সেটাও জানিয়েছেন লখনৌয়ের পেসার।

মহসিন বলেন, ‘রান আপ কিছুটা কমিয়েছিলাম। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। ঠিক করেছিলাম, বেশি গতিতে বল করব না। ইয়র্কার করার চেষ্টা করছিলাম। ব্যাটারদের বুঝতে দিইনি আমি কী করতে চাইছি। সেই কারণেই সফল হয়েছি।’

অথচ ক্রিকেটজীবনও শেষ হয়ে যেতে পারত মহসিনের। চিকিৎসা শুরু করতে আর কিছু দিন দেরি হলে কেটে ফেলতে হত তার বাঁ হাত। মুম্বাইকে হারানোর পর জীবনের এমনই কঠিন সময়ের গল্প শুনিয়েছেন মহসিন।

পুরো সুস্থ হতে না পারায় এবারের আইপিএলের প্রথম দিকে লখনৌয়ের হয়ে খেলতে পারেননি বাঁহাতি পেসার। খেলতে গিয়েই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তার বাঁ কাঁধে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়।

মহসিন বলেন, ‘আশা করব আমার মতো চোট কোনো ক্রিকেটার পাবে না। আঘাত লেগে আমার ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার হাতের স্নায়ু সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল।’

এরপর তিনি বলেন, ‘সেই কঠিন সময়ে ক্রিকেট সংস্থা, গৌতম গম্ভীর স্যর, রাজীব শুক্লা স্যার, লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি, সঞ্জীব গোয়েনকা স্যার এবং পরিবারের সকলের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। খুব কঠিন ছিল বিষয়টা। ভাবিনি আবার কখনও ক্রিকেট খেলতে পারব। আমি হাত তুলতে পারতাম না। হাত পুরো সোজাও করতে পারতাম না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]