নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পানচাষে সুদিন ফিরছে কৃষকের। বর্তমানে বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় পানচাষের প্রতি সবারই আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি উঁচু জমিতে, বাড়ির পাশে, বিভিন্ন গাছে কিংবা বাড়ির উঠানে পানচাষ বাড়ছে। এতে একদিকে চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছে এলাকার অনেক প্রান্তিক ও দরিদ্র কৃষক পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হোসেনপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট বড় দুই শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত পান উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া, নান্দাইল, গফরগাঁও, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এরই মধ্যে উপজেলায় পানপল্লী খ্যাত সুরাটি, সিদলা, জাহাঙ্গীরপুর, পিতলগঞ্জ, ভরুয়া, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে পানচাষ করে বদলেছেন পরিবারের ভাগ্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর হোসেনপুরে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা। আর উৎপাদিত পান বিক্রি করা যায় আট থেকে ১০ লাখ টাকায়। উপজেলার সুরাটি, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন শতাধিক পান চাষি রয়েছেন।
সুরাটি গ্রামের পানচাষি কফিল উদ্দিন, পানান গ্রামের পানচাষি আব্দুল লতিফ, কুড়িমারা গ্রামের লিয়াকত মিয়া, হারেঞ্জা গ্রামের হুমায়ুনসহ অনেকেই জানান পান চাষ লাভজনক। এতে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির জানান, তুলনামূলকভাবে লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে পানচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন।
Posted ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin