নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২০ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
দিল্লির অতি আধুনিক আরামদায়ক মেট্রোরেল নেটোওয়ার্ক এখন হয়ে উঠেছে তরুণ-তরুণীদের প্রেম ভালোবাসার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর একটা প্রিয় জায়গা। মেট্রোরেলের কামরায় গত সপ্তাহে এক তরুণ দম্পতির চুম্বনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর এই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিতর্কের বিষয় হচ্ছে প্রকাশ্যে কী ধরনের আচরণ অশ্লীল ও আপত্তিকর এবং ব্যক্তিগত আচরণের নৈতিক দায়দায়িত্ব কার?
ভিডিওতে দেখা গেছে এক পুরুষের কোলে শুয়ে এক নারী এবং তারা ওই অবস্থায় একে অপরকে চুমু খাচ্ছেন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন যাত্রীদের জানিয়েছে তারা কারোর ‘আপত্তিকর আচরণ’ দেখলে যেন কর্তৃপক্ষের কাছে তা রিপোর্ট করে। খবর বিবিসির
রেল কর্তৃপক্ষ এধরনের আচরণের ওপর নজরদারি চালাতে তাদের ‘ঝটিকা নজরদারি বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যা বৃদ্ধিরও’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আপত্তিকর বা অশ্লীল আচরণ কী?
কিন্তু ‘আপত্তিকর আচরণ’-এর সংজ্ঞা কী? তা নিয়েও নানা মুনির নানা মত।
যেমন, সোসাল মিডিয়ায় যারা মতামতের ঝড় তুলছেন তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ায় বিস্তর ফারাক আছে। কারোর কাছে মনে হয় খুবই স্বাভাবিক আচরণও আপত্তিকর–যেমন–ট্রেনের ভেতর এক তরুণ দম্পতি একসাথে বসে আছেন আর মেয়েটির মাথা তার পুরুষ সঙ্গীর কাঁধে।
ভারতের কলকাতায় ২০১৮ সালে এক দম্পতি পরস্পরকে প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করায় ক্রুদ্ধ সহযাত্রীরা তাদের পিটিয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ উঠেছিল। অনেকেই সাধারণ নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছিল তরুণ সমাজের ওপর ‘নৈতিক পুলিশি নজরদারি’ তারা যেন বন্ধ করে।
দিল্লির মেট্রো স্টেশনে ২০১৯ সালে সিসিটিভি ভিডিওতে ওঠা এক দম্পতির ‘অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের’ ছবি উঠে গিয়েছিল একটি পর্ন সাইটে।
Posted ১:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin